হোম > জাতীয়

‘খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিতে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে যাচ্ছে’

স্টাফ রিপোর্টার

আজ খাদ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত “আমন ২০২৪-২৫ ও বোরো ২০২৫-এর সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও দেশের খাদ্য নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি”অনুষ্ঠান-২০২৫-এ প্রধান অতিথি খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেন, “খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা- কর্মচারীরা দেশের জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে যাচ্ছে।”

গত আমন ও বোরো মৌসুমের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে সংগ্রহের পরিমাণ, চুক্তির পরিমাণ, ব্যক্তিগত উদ্যোগ ও ব্যবস্থাপনা, দক্ষতা, সততা, সমন্বয় ইত্যাদি বিবেচনায় খাদ্য অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের ৩১ জন কর্মকর্তা- কর্মচারীকে ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়। আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক হিসেবে একজন, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হিসেবে পাঁচ জন, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হিসেবে দশ জন এবং ব্যবস্থাপক/চলাচল ও সংরক্ষণ কর্মকর্তা/ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে পনের জনকে সম্মাননা দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, “২০২৪ সালে সরকার পরিবর্তনের পর দেশের প্রায় সকল প্রতিষ্ঠানই ভেঙ্গে পড়েছিল। কিন্তু খাদ্য অধিদপ্তর এই ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। অধিদপ্তরের কর্মকর্তা- কর্মচারীরা সব সময় নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশের মানুষের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। চ্যালেঞ্জ নেওয়াটাই দেশের জন্য কাজ করার গৌরব।”তিনি পুরস্কারপ্রাপ্ত ৩১ জন কর্মকর্তা- কর্মচারীকে অভিনন্দন জানান।

তিনি আরও বলেন, “আমন মৌসুমের সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা ইতোমধ্যেই সকলকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটি মিনিমাম, কিন্তু সংগ্রহ করতে হবে ম্যাক্সিমাম। ধান ও চালের সংগ্রহ মূল্য যৌক্তিকভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে। কারো ক্ষতি হবে না। তাই সকলকে আন্তরিকতার সঙ্গে সংগ্রহ অভিযান সফল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমরা যখন চলে যাব, নিয়ম অনুযায়ী যে পরিমাণ খাদ্য মজুদ থাকার কথা, তার চেয়ে বেশি থাকবে ইনশাআল্লাহ। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হবে। নির্বাচনী দায়িত্বের বিষয়টি বিবেচনা করে মধ্য ফেব্রুয়ারির আগেই লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ধান ও চাল সংগ্রহে সচেষ্ট হতে হবে। কোন প্রকার শৈথিল্য গ্রহণযোগ্য নয়। যত বেশি অভ্যন্তরিণ সংগ্রহ করা সম্ভব, তা আমাদের জন্য মঙ্গল। এতে আমদানি কম হবে।”

খাদ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, “কোন কৃষক ধান বিক্রির জন্য আনলে তাকে ফিরিয়ে দেওয়া যাবে না। শুধুমাত্র ধানের আদ্রতার বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে। কোনো গুদামে বস্তাবন্দি পঁচা চাল পাওয়া গেলে তা বরদাস্ত করা হবে না। শাস্তি দেওয়া আমাদের দায়িত্ব নয়, সবাইকে দায়িত্ব নিয়ে দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে হবে।”

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি খাদ্য সচিব মো. মাসুদুল হাসান পুরস্কারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, “বিগত বোরো মৌসুমে দেশের ইতিহাসে রেকর্ড পরিমাণ ধান-চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। এটি খাদ্য অধিদপ্তরের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা- কর্মচারীদের আন্তরিক চেষ্টার ফল। এজন্য সকলকে ধন্যবাদ।” তিনি চলমান আমন মৌসুমেও সংগ্রহ অভিযান সফল করার জন্য সকলকে আন্তরিকতার অনুরোধ জানান।

অনুষ্ঠানের সভাপতি, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবুল হাছানাত হুমায়ুন কবীর, পুরস্কারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানান এবং সকলকে চলমান আমন মৌসুমের সংগ্রহ অভিযান সফল করার জন্য নির্দেশনা দেন।

এসআর

কবির বিন আনোয়ারের পরিবারের ৩ সদস্যের সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ

ভূমিকম্প নিরাপত্তায় কারখানা ভবন পরীক্ষা-নিরীক্ষার নির্দেশনা বিজিএমইএর

ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিএনপির সাক্ষাৎ

সম্মিলিত ইমাম–খতিব জাতীয় সম্মেলনে সাত দফা দাবি

ইন্টারপোল সম্মেলনে যোগ দিতে মরক্কো গেলেন আইজিপি

সেনাপ্রধানের সাথে পাকিস্তানের এইচআইটি চেয়ারম্যানের সাক্ষাৎ

ওবায়দুল কাদেরের ‘পালকপুত্র’ হিরুর বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু

সার কারখানায় ব্যবহৃত গ্যাসের দাম প্রায় দ্বিগুণ হলো

হাসিনা-কামালকে ফেরাতে ফের দিল্লিকে চিঠি ঢাকার

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় দেশকে লাল, হলুদ ও সবুজ জোনে ভাগ করা হবে