হোম > জাতীয়

হাসিনার স্বৈরাচারী ব্যবস্থা বিলোপে জুলাই সনদ মাইলফলক হবে

বদিউল আলম মজুমদার

স্টাফ রিপোর্টার

শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী ব্যবস্থা বিলোপ করতে জুলাই সনদ একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ও সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার।

শনিবার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (এফডিসি) এক ছায়া বিতর্ক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ক্ষমতা কুক্ষিগত হওয়া ও অপব্যবহার রোধ করতে নজরদারিত্বের কাঠামো সৃষ্টি করতে হবে। এ জন্য আমাদের আইনি, কাঠামোগত ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার প্রয়োজন।

বদিউল আলম মজুমদার বলেন, শেখ হাসিনা স্বৈরাচার ছিলেন, ফ্যাসিস্ট ছিলেন। তিনি পালিয়ে গেছেন। কিন্তু তিনি তার স্বৈরাচারী ব্যবস্থা রেখে গেছেন। তার ব্যবস্থার আইন-কানুন, বিধিবিধান, প্রতিষ্ঠান- এগুলো শেখ হাসিনাকে স্বৈরাচারে পরিণত করেছে। সেই কাঠামো এখনো বিদ্যমান। এই কাঠামোগত সংস্কারের ক্ষেত্রে জুলাই সনদ একটি বিরাট মাইলফলক হবে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এই সদস্য বলেন, কেবল একটি সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচনই গণতন্ত্র নয়। এটা গণতন্ত্রের প্রথম পদক্ষেপ। এই যাত্রা সফল হবে যদি নির্বাচনের পরে আরও কিছু ঘটে। বিশেষ করে নির্বাচনের পরে কী ঘটে সেটার ওপর নির্ভর করবে।

তিনি বলেন, আমরা যদি সুষ্ঠু নির্বাচনেই নিজেদের সন্তুষ্ট রাখতে চাই তাহলে আমরা কেবল একদিনের (নির্বাচনের দিন) গণতন্ত্র পাব। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন কিন্তু এর আগে পেয়েছি, কিন্তু গণতন্ত্রের উত্তরণ ঘটেনি। গণতন্ত্র সুরক্ষিত হয়নি।

নির্বাচিত সরকার যদি মানবাধিকার, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, মানুষের রাজনৈতিকসহ অন্যান্য অধিকার নিশ্চিত, স্বচ্ছতা, জবাবদিহি নিশ্চিত, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর স্বার্থ যদি নিশ্চিত এবং জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে, তাহলেই কেবল গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করতে পারে।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, দেশকে যারা বাপের তালুক বানিয়েছে একটা দলের প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিতে পরিণত করেছে, তাদের (আওয়ামী লীগ) বিচার হওয়া উচিত। কেবল ক্ষমতার পালাবদল যেন দুর্নীতির পালাবদল না হয় সেই বিষয়েও সতর্ক করেন তিনি।

হাসান আহমেদ চৌধুরী বলেন, শঙ্কা কাটিয়ে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। জুলাই সনদ নিয়ে ঐকমত্যের বিষয় এখন সিলভার লাইন থেকে গোল্ডেন লাইনে পরিণত হয়েছে। গণতন্ত্রকামী প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলই একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন প্রত্যাশা করছে। আগামী ১৫ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে জুলাই সনদ স্বাক্ষর হওয়ার কথা রয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর রেষারেষির কারণে জুলাই সনদ স্বাক্ষরে যদি প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়, তাহলে দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়বে।

তিনি আরও বলেন, হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। আমরা আশা করি বিভেদের রাজনীতি পরিহার করে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে ফ্যাসিবাদবিরোধী প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ থাকবে।

শ্রমিকদের স্বার্থে আইএলওর ৩ কনভেনশনে সই করল সরকার

ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষায় আসছে নতুন ৩ ব্যাটালিয়ন

হামলায় আহত সাংবাদিক জাহিদকে সমবেদনা জানাতে আমার দেশ অফিসে এ্যানি

সেন্টমার্টিনে নৌযান চলাচলে লাগবে অনুমোদন

তামাকমুক্ত সমাজ গঠনে জনমত গড়ে তুলতে হবে: প্রাথমিক উপদেষ্টা

শুক্র-শনিবারও চলবে বিমানবন্দরের শুল্কায়ন কার্যক্রম

নির্বাচনের দিন গণভোট চেয়ে জটিলতা তৈরি করছে বিএনপি

নভেম্বরে রাত্রিযাপন করা যাবে না সেন্টমার্টিনে

সেন্টমার্টিন যেতে মানতে হবে যে ১২ নির্দেশনা

বোরকা নিয়ে কটূক্তি ঢাবি শিক্ষার্থীর, নিন্দা জানালো ছাত্রীসংস্থা