পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা
পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা এবং বনসম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করছে। শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। এই প্রকল্পে বিআরটিএ এবং পুলিশ বাহিনী যৌথভাবে চালকদের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করবে। শব্দদূষণ রোধ করতে এর বিধিমালা পরিবর্তন করে পুলিশকে ক্ষমতা দেওয়া হবে।
সোমবার সচিবালয়ের মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
উপদেষ্টা বলেন, বিভিন্ন দূষণ রোধে কী ব্যবস্থা করা যায় তার পরামর্শ দিতে আগামী সপ্তাহে চীনের বিশেষজ্ঞ দল আসছেন। ঢাকার বায়ুদূষণ রোধে কাজ শুরু করেছে সরকার। এছাড়া, শব্দদূষণ, নদী দখল রোধ, পলিথিন ব্যবহার বন্ধের নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সেন্ট মার্টিন দ্বীপ প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, সেন্ট মার্টিনের প্রাকৃতিক পরিবেশ ফিরে আসতে শুরু করেছে। এটা নিয়ে একটি মাস্টারপ্ল্যানের চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, পলিথিন ব্যাগের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান বেশ দৃঢ়। সরকার প্রাথমিক পর্যায়ে বাজার মনিটর করছে। এই পলিথিন শপিং ব্যাগের জন্য পাট এবং বস্ত্র মন্ত্রণালয় দায়িত্ব নিয়েছে। তারা ঢাকা এবং চট্টগ্রামকে প্রাথমিকভাবে টার্গেট করে পাটের ব্যাগ উৎপাদন করবে। এতে পাটকলগুলো আবারো চালু হবে। একই সঙ্গে ক্রেতারাও সুলভমূল্যে পাটের পণ্য কিনতে পারবেন।
এদিকে সচিবালয়ে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত অপর এক সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা জানান, আগামীকাল ২৫ জুন থেকে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রের পাশে শুরু হচ্ছে পরিবেশ মেলা ও বৃক্ষমেলা। মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। অনুষ্ঠানে পরিবেশ রক্ষায় অবদানের জন্য বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রদান করবেন প্রধান উপদেষ্টা। পরিবেশ মেলা চলবে ২৫-২৭ জুন আর বৃক্ষমেলা চলবে ২৪ জুলাই পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এই অনুষ্ঠানে সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ড. ফাহমিদা খানম, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. খায়রুল ইসলাম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান এবং বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী।