চট্টগ্রাম বন্দর উন্নয়নে বিদেশি বিনিয়োগ দেশের জন্য সুখবর হতে পারে, তবে স্বচছতা ও জবাবদিহিতার স্বার্থে চুক্তি প্রক্রিয়া ও শর্তাবলিসংক্রান্ত সকল তথ্য প্রকাশ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি সরকারে প্রতি এ আহ্বান জানান।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থে বন্দরসহ বিভিন্ন খাতে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে যে কোনো উদ্যোগ সাধুবাদ যোগ্য। তবে এক্ষেত্রে প্রক্রিয়াগত স্বচ্ছতা নিশ্চিত করাসহ এ জাতীয় চুক্তিতে জাতীয় স্বার্থ সম্পর্কিত বিষয়াবলী কীভাবে সংরক্ষিত হয়েছে, তা জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে। মনে রাখতে হবে, যে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে লালদিয়া টার্মিনাল নির্মাণ চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে, তারা কিন্তু‘এখানে ‘‘জনসেবা বা চ্যারিটি’ করতে আসেনি। তাদের বিনিয়োগের মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে, মুনাফা অর্জন।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘বন্দরকেন্দ্রিক কর্মসংস্থান ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও অংশীজনদের ওপর এর ইতিবাচক ও নেতিবাচক প্রভাব বিশ্লেষণ করা হয়েছে কিনা? সর্বোপরি জনগণের স্বার্থ কতটা মূল্যায়িত হয়েছে বা এ খাতে নিজম্ব দক্ষতা ও সামর্থ্য বিকাশে এই চুক্তি কতটা সহায়ক ভূমিকা পালন করবে, তা বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে কিনা? অধিকিন্তু, দীর্ঘমেয়াদি এই চুক্তি স্বাক্ষরের পেছনে সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ভিত্তি হিসেবে সুনির্দিষ্ট কোনো অর্থনৈতিক কৌশলগত পথনকঁশা আছে কি? যেহেতু সরকার ইতোমধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, তাই স্বচ্ছতার প্রশ্নে অনতিবিলম্বে জাতীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট এই প্রশ্নগুলোর উত্তর জনসাধারণকে জানাতে হবে।’