হিংসা-বিদ্বেষ ও আক্রোশ পরিহার করে সমাজে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা এবং সব ধরনের অবিচার ও নির্মমতা প্রতিরোধে সকলকে শপথ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বুধবার খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব বড়দিন উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তারেক রহমান বলেন, শুভ বড়দিন সমাগত। বড়দিন খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। এ উপলক্ষে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের খ্রিস্টান সম্প্রদায়কে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। প্রত্যেকের সুখ, শান্তি, সুস্বাস্থ্য ও সমৃদ্ধি কামনা করি।
তিনি বলেন, ক্ষমা, করুণা ও মানবপ্রেমের দিশারি মহান যীশুখ্রিস্ট এই দিনে পৃথিবীতে আবির্ভূত হন। মানুষে মানুষে সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠাই ছিল তাঁর মূল বার্তা। সব ধর্মের মূল কথাই মানুষের সেবা ও কল্যাণ। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দেশ ও মানুষের কল্যাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
তারেক রহমান আরও বলেন, যীশুখ্রিস্ট মানুষকে ভালোবাসতে, ক্ষমা করতে এবং ন্যায় প্রতিষ্ঠার শিক্ষা দিয়েছেন। শুভ বড়দিন একটি সর্বজনীন ধর্মীয় উৎসব। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এদেশের মানুষ যুগ যুগ ধরে স্বাধীনভাবে ও আনন্দঘন পরিবেশে নিজ নিজ ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করে আসছে।
তিনি বলেন, “হিংসা-বিদ্বেষ, আক্রোশ পরিহার করে সমাজে শান্তি ও স্থিতি প্রতিষ্ঠা এবং সব ধরনের অবিচার ও নির্মমতা প্রতিরোধ করতে আমাদের সবাইকে শপথ নিতে হবে। বৈষম্যহীন, দুর্নীতিমুক্ত ও ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আরও জোরদার করতে হবে।”
বিশ্বব্যাপী মানুষ নানামুখী সংকটে রয়েছে উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, মহামানবদের জীবনদর্শন যথাযথভাবে উপলব্ধি করতে পারলেই মানবজীবনে ন্যায়নীতি, শান্তি ও কল্যাণ নিশ্চিত করা সম্ভব।
বাণীর শেষে তিনি বড়দিন উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করেন।