অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার এসডিজি বিষয়ক দূত লামিয়া মোর্শেদ, আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী ও তার বোন হোসনা সিদ্দিকীকে জড়িয়ে প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, অসত্য ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ফেসবুকের এক পোস্টে তিনি বলেন, সূত্রহীন ও কল্পনানির্ভর ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার উল্লিখিত তিনজনকে বিভিন্ন দেশে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দিতে চায়। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে, তাদের কথিত ‘রাষ্ট্রদূত হওয়ার খায়েশ’ পূরণে ‘পেশাদার কূটনীতিকদের বলি দিতে হচ্ছে।
প্রেস সচিব বলেন, সাংবাদিকতার ন্যূনতম নীতি, দায়িত্ববোধ ও পেশাদারিত্বহীন এই প্রতিবেদনে রাষ্ট্রদূতের সম্মানজনক পদকে ‘মাখন খাওয়া’ এবং তাঁদের কল্পিত নিয়োগকে ‘গাছেরটা খেয়ে তলারটা কুড়ানো’–র মতো অবমাননাকর উপমার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে—যা সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য চরম অপমানজনক ও নিন্দনীয়।
তিনি বলেন, এ ধরনের ভাষা প্রয়োগ ও ভিত্তিহীন অভিযোগ স্পষ্টভাবে ব্যক্তিগত বিদ্বেষ ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মানসিকতার প্রতিফলন।
এই বিষয়ে লামিয়া মোর্শেদ আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানালে মানবজমিন দাবি করে যে তারা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রাথমিক আলোচনার ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে—যদিও সেই দাবিটিও সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। মানবজমিন এর মধ্য দিয়ে নিজেদের তৃতীয় সারির সংবাদমাধ্যমের মানহীনতার স্তরে নামিয়ে এনেছে এবং যথারীতি কোনো ক্ষমা প্রার্থনা করেনি।
শফিকুল আলম বলেন, আমরা দৈনিক মানবজমিনের প্রতি উক্ত মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর ও মানহানিকর প্রতিবেদনটি অবিলম্বে প্রত্যাহার করে আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখপ্রকাশের আহ্বান জানাচ্ছি।