হোম > জাতীয়

সব মাধ্যমে জনপ্রিয়তা পেয়েছে আমার দেশ

পুনঃপ্রকাশের এক বছর

বিশেষ প্রতিনিধি

আমার দেশ পুনঃপ্রকাশের প্রথম বার্ষিকী আজ। ফ্যাসিবাদের রোষানলে পড়ে বন্ধ হওয়ার ১১ বছর পর ২০২৪ সালের ২২ ডিসেম্বর পাঠকপ্রিয় এ দৈনিক পুনঃপ্রকাশিত হয়। নানা প্রতিকূলতার মধ্যে স্বল্প সময়ের প্রস্তুতিতে সীমিত অর্থ ও জনবল নিয়ে প্রকাশের প্রথম দিনই সাড়া ফেলে আমার দেশ। প্রথম সংখ্যাটি বাজিমাত করে। জুলাই আন্দোলন দমনে ভারতকে দিয়ে বাংলাদেশে আক্রমণের ষড়যন্ত্র ফাঁস করে সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি করে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার শাসনে গায়ের জোরে বন্ধ করে দেওয়া আমার দেশ।

গত বছর পুঃপ্রকাশের সময় পত্রিকাটি জুলাই বিপ্লবের চেতনাকে জাগ্রত রাখার অঙ্গীকার করেছিল। সে অঙ্গীকার রক্ষায় পত্রিকাটি তার প্রথম পুনঃপ্রকাশের কর্মসূচি জাঁকজমকপূর্ণ না করার সিদ্ধান্ত নেয়। জুলাই বিপ্লবের অগ্রভাগের সৈনিক শরীফ ওসমান হাদির নৃশংস হত্যাকাণ্ডে শোকাহত আমার দেশ পরিবার। এ পরিপ্রেক্ষিতে আজকের দিনের নির্ধারিত সব আয়োজন বাতিল করে অনাড়ম্বরভাবে পালন করা হবে। পুনঃপ্রকাশের পর গত এক বছর নির্বিঘ্ন পথ চলতে পাশে থাকার জন্য পাঠককুলের প্রতি কৃতজ্ঞ আমার দেশ পরিবার। সর্বাত্মক সহায়তার জন্য বিজ্ঞাপনদাতা, সংবাদপত্র বিক্রেতা, এজেন্ট ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে আগামী দিনেও পাশে থাকার প্রত্যাশা ব্যক্ত করছে আমার দেশ।

প্রথম দিনে আলোড়ন সৃষ্টি ছাড়াও এক বছরে আমার দেশ সাড়া জাগানো বহু প্রতিবেদন করেছে। স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্ব প্রশ্নে আপসহীন আমার দেশ তার সংবাদ পরিবেশনে ভারতীয় আধিপাত্যবাদবিরোধী অবস্থানকে সর্বাধিক প্রাধান্য দিয়েছে। স্বাধীনতার পাশাপাশি পরিপূর্ণভাবে ধারণ করেছে জুলাই বিপ্লবের চেতনা।

ছাপা পত্রিকার পাশাপাশি আমার দেশ ই-ভার্সন, অনলাইন পোর্টাল, ইউটিউব চ্যানেল এবং ফেসবুকের মতো ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মও জনপ্রিয়তা পেয়েছে। আমার দেশ ইউটিউব চ্যানেলে দেড় মিলিয়ন সদস্য যুক্ত হয়েছেন।

২০০৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর সর্বপ্রথম দৈনিক আমার দেশ পত্রিকা প্রকাশিত হয়। প্রকাশের সঙ্গে প্রথম থেকেই যুক্ত ছিলেন বিবিসিখ্যাত সাংবাদিক মরহুম আসাউস সামাদ। ওয়ান-ইলেভেনের সময় অন্যান্য গণমাধ্যমের মতো আমার দেশ যখন চরম সংকটে পড়ে। তখন ২০০৮ সালে সফল উদ্যোক্তা মাহমুদুর রহমান আমার দেশ-এর হাল ধরেন। তিনি সিদ্ধান্ত নেন, আমার দেশ হবে দেশ ও জনগণের মুখপত্র। তিনি পত্রিকা প্রকাশের সময়কালের স্লোগান ‘আমার দেশ-সবার কথা বলে’ পরিবর্তন করে ‘আমার দেশ-স্বাধীনতার কথা বলে’ পুনর্নির্ধারণ করেন।

২০০৯ সালের নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর আমার দেশ সরকারের রোষানলে পড়ে। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের দুর্নীতি, সরকার কর্তৃক বিচার বিভাগ ক্রীড়ানক হিসেবে ব্যবহারসহ নানা অপকর্ম তুলে ধরে একের পর এক আলোচিত সংবাদ পরিবেশন করতে থাকে আমার দেশ। এর জেরে ২০১০ সালের ১ জুন আমার দেশ পত্রিকা বন্ধ করে দেয় সরকার। পত্রিকাটির কার্যালয় রাতভর অবরুদ্ধ রেখে আমার দেশ সম্পাদককে গ্রেপ্তার করা হয়। আইনি প্রক্রিয়ায় ওই দফায় ১০ দিনের মাথায় পত্রিকাটি প্রকাশিত হয়। এরপর শেখ হাসিনার সরকার ২০১৩ সালের ১১ এপ্রিল পত্রিকাটি দ্বিতীয় দফায় বন্ধ করে দেয়। সিল করে দেওয়া হয় ছাপাখানা। গ্রেপ্তার করা হয় সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে। ২০১৩ সালের ১১ এপ্রিল পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের দেওয়া সেই তালা খুলতে সময় লেগেছে ১১ বছর।

‘জনগণের শক্তির ওপর নির্ভর না করায় ইউনুস সরকার আজ দিশেহারা’

ডিআরইউ সদস্যদের জন্য ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল সাপোর্টিং বুথের উদ্বোধন

হাদি হত্যা মামলার প্রধান আসামি ফয়সালের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

এনএসআইয়ের ১৩ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদক

রাজধানীতে গুলিতে কনস্ট্রাকশন সাইট ম্যানেজার গুলিবিদ্ধ

গুম কমিশনের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ করতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে

পবিত্র শবে মেরাজ ১৬ জানুয়ারি

আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে গোল্ডসহ ১১টি পদক জয় বাংলাদেশের

এবার দিল্লির বিবৃতির পাল্টা জবাব দিলো ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের সংবাদ সম্মেলন কাল, ঘোষণা হবে কর্মসূচি