সুর ও ছন্দে মুখরিত পরিবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়েছে “শরৎ উৎসব ১৪৩২”।
বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ, সংগীত বিভাগ, নৃত্যকলা বিভাগ, থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগ এবং ডাকসু যৌথভাবে এই উৎসবের আয়োজন করে। এ অনুষ্ঠানে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম শেখের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুস সালাম, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইকরামুল হক, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ, প্রাচ্যকলা বিভাগের অনারারি অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস সাত্তার, সংগীত বিভাগের চেয়ারপার্সন ড. প্রিয়াংকা গোপ, নৃত্যকলা বিভাগের চেয়ারপার্সন তামান্না রহমান, থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারপার্সন কাজী তামান্না হক সিগমা, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবুল কালাম সরকার এবং ডাকসুর সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা বলেন, “এ ধরনের উৎসব শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্তঃসম্পর্ককে সুদৃঢ় করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বর্তমান যান্ত্রিক জীবনে এমন উৎসব আমাদের পারস্পরিক যোগাযোগ ও মানবিক গুণাবলীর বিকাশে সহায়ক।”
তিনি শরৎ উৎসবকে গ্রামবাংলার চিরায়ত ঐতিহ্য হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “এই উৎসবের মাধ্যমে আমরা বিশ্ব দরবারে আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য তুলে ধরতে পারি।”
দিনব্যাপী উৎসবে চারুকলা অনুষদ, সংগীত বিভাগ, নৃত্যকলা বিভাগ এবং থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা পরিবেশন করেন মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পাশাপাশি উৎসবে অনুষ্ঠিত হয় পেইন্টিং প্রদর্শনী প্রতিযোগিতা।
প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীরা হলেন - অঙ্কন ও চিত্রায়ণ বিভাগের ফারিয়া নওশিন আহমেদ ও সাজ্জাদুল ইসলাম, এবং গ্রাফিক ডিজাইন বিভাগের ফরহাদ আলী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথিরা তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।