ওয়াশিংটন পোস্টের প্রথম পৃষ্ঠার নিচের দিকে ১৯৭২ সালের ১৮ জুন প্রকাশিত একটি শিরোনাম ছিল ‘ডেমোক্রেটিক অফিসে আড়িপাতার ষড়যন্ত্রে জড়িত পাঁচজন আটক’। প্রতিবেদনে বলা হয়, ওয়াশিংটনে ওয়াটারগেট অফিস কমপ্লেক্সে ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কমিটির (ডিএনসি) অফিসের অভ্যন্তরে একদল চোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ওই খবরের জেরে পরের দুই বছর নানা ঘটনাপ্রবাহ ওয়াশিংটনকে প্রকম্পিত করে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম কোনো প্রেসিডেন্টকে পদত্যাগ করতে হয় এবং চিরতরে বদলে যায় দেশটির রাজনীতি।
ওয়াশিংটন পোস্টের দুজন তরুণ রিপোর্টার কার্ল বার্নস্টেইন এবং বব উডওয়ার্ডকে ওই প্রতিবেদনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। উডওয়ার্ডের নোট থেকে জানা যায়, তিনি পুলিশ সূত্র থেকে জানতে পারেন ওই চোরেরা এসেছিল মায়ামি থেকে। তারা সার্জিক্যাল গ্লোব পরেছিল এবং তাদের সঙ্গে ছিল হাজার হাজার ডলার। একটি সূত্র জানায়, এটা ছিল ‘পেশাদার অভিযানের মতো’।
এর পরের দিন উডওয়ার্ড ও বার্নস্টেইন যে প্রতিবেদনটি দেন, তা আরো বহু খবরের পথ খুলে দেয়। সেদিনের প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিলÑ‘গ্রেপ্তারদের মধ্যে জিওপির নিরাপত্তা সহযোগীও রয়েছেন’। জিওপি মানে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি বা রিপাবলিকান পার্টি। প্রতিবেদনে বলা হয়, চোর জেমস ম্যাককর্ড ছিলেন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের দ্বিতীয় দফা নির্বাচন কমিটির বেতনভুক্ত কর্মী। পরের দিন নিক্সন ও তার চিফ অব স্টাফ এইচআর হল্ডম্যান গোপনে আলোচনা করেন যে, এফবিআইয়ের ওই চুরির অনুসন্ধান বন্ধ করতে কীভাবে সিআইএকে কাজে লাগানো যায়। তবে আনুষ্ঠানিক বক্তব্যে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র বলেন, এরকম একটি ছোটখাটো চুরির ঘটনা নিয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করবেন না।
কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই উডওয়ার্ড ও বার্নস্টেইন প্রতিবেদন করেন যে, চুরির ঘটনা তদন্তে নিয়োজিত গ্র্যান্ড জুরি দুজনকে সাক্ষ্যের জন্য তলব করেছে, যারা নিক্সনের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে কাজ করেছেন। তাদের একজন হলেন সিআইএর সাবেক কর্মকর্তা এ হোয়ার্ড হান্ট, অন্যজন এফবিআইয়ের সাবেক গুপ্তচর জি গর্ডন লিডি। তারা ডেমোক্রেটিক অফিসের পাশের একটি হোটেল কক্ষ থেকে ওয়াকিটকির মাধ্যমে চোরদের নির্দেশনা দিচ্ছিলেন। পরে ওই দুজনও দণ্ডিত হন।
বার্নস্টেইন জানতে পারেন যে, মায়ামিতে একজন চোরের অ্যাকাউন্টে নিক্সনের পুনর্নির্বাচন ক্যাম্পেইন থেকে ২৫ হাজার ডলার জমা করা হয়েছে। এ তথ্য নিয়ে প্রতিবেদনের শিরোনাম হয়Ñ‘আড়িপাতায় সন্দেহভাজনকে নির্বাচনি তহবিল থেকে অর্থদান’। প্রতিবেদনে বলা হয়, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী এবং নিক্সনের মুখ্য তহবিল সংগ্রহকারী মরিস স্টানসকে ওই অর্থের চেক দেওয়া হয়েছে। ওই প্রতিবেদনের মাধ্যমে ওয়াশিংটন পোস্ট ডেমোক্রেটিক অফিসে চুরির ঘটনাকে নিক্সনের তহবিল সংগ্রহ অভিযানের সঙ্গে যুক্ত করে।
ওয়াশিংটন পোস্টের ওই দুই রিপোর্টার ঘটনাটিকে অনুসরণ করে চলছিলেন। এর মধ্যে উডওয়ার্ড নির্ভর করতেন এফবিআইয়ের ঊর্ধতন কর্মকর্তা মার্ক ফেল্টের ওপর। তিনি ছিলেন অজ্ঞাতনামা সূত্র। ওই চুরির ঘটনা তদন্তের রিপোর্ট দেখার সুযোগ ছিল ফেল্টের। ফলে ওয়াশিংটন পোস্টের রিপোর্টাররা অন্য সূত্র থেকে যেসব তথ্য পেতেন, তার সত্যাসত্য নিশ্চিত করতেন ফেল্ট। ঘটনাপ্রবাহ কোন দিকে গড়াচ্ছে এবং এখন কোন দিকে রিপোর্টারদের খোঁজখবর নেওয়া উচিত, সে পরামর্শও দিতেন ফেল্ট। ফেল্টের নাম কখনো প্রকাশ করেননি উডওয়ার্ড। সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনাকালে তিনি ফেল্টকে ‘ডিপ থ্রোট’ বলে পরিচয় দিতেন।
ঘটনার ৩৩ বছর পর ২০০৫ সালে ফেল্টের পরিচয় প্রকাশ পায়। বস্তুত তিনি নিজেই সেটা প্রকাশ করেন।
নিক্সন ১৯৭২ সালের নির্বাচনের জন্য প্রচার চালাতে থাকেন আর উডওয়ার্ড ও বার্নস্টেইন ওই ঘটনা নিয়ে কয়েকটি বিশেষ রিপোর্ট প্রকাশ করেন। এর মধ্যে একটি ছিল অ্যাটর্নি জেনারেল জন মিশেল ডেমোক্রেট দলের তথ্য পেতে গোপন তহবিল থেকে অর্থ খরচ করতেন। নিক্সনের পক্ষ থেকে তার সহযোগীরা ব্যাপক রাজনৈতিক গুপ্তচরবৃত্তি ও নাশকতা চালান।
তবে অন্যান্য সংবাপত্রে এসব খবর উপেক্ষা করা হয়। ১৯৭২ সালের নভেম্বরের নির্বাচনে বিশাল জয় পান নিক্সন। হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনকে পক্ষপাতদুষ্ট ও বিভ্রান্তিকর আখ্যা দিয়ে নিন্দা করা অব্যাহত রাখা হয়। পত্রিকাটির প্রকাশক ক্যাথেরিন গ্রাহাম নিক্সন প্রশাসনের হুমকি ও হয়রানির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
সিআইএর সাবেক কর্মকর্তা হোয়ার্ড হান্ট জানান, হোয়াইট হাউস তাকে এবং তার সহযোগীদেরও টাকা দিয়েছে। ওই মামলার বিচারের প্রধান ছিলেন স্পষ্টভাষী জন সিরিকা। তিনি নিজেই তদন্তের দায়িত্ব নেন এবং অভিযুক্তদের সত্য বলতে বাধ্য করেন। এতে হান্ট ও অন্য চোরেরা নিজেদের দোষ স্বীকার করেন। রায়ে অভিযুক্তদের সাজা হয়।
হান্টের টাকা নেওয়ার দাবির পর হোয়াইট হাউসের আইনজীবী নিক্সনকে গোপনে বলেন, তার প্রেসিডেন্সিতে ‘ক্যানসার বাসা বেঁধেছে’। অবশেষে এফবিআই যখন হোয়াইট হাউসের দাবি নাকচ করে দেয়, তখন শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা হলফনামা ও বিচারে বিঘ্ন সৃষ্টির মামলা হয়। ১৯৭৩ সালের এপ্রিলে চিফ অব স্টাফ হাল্ডম্যান, অ্যাটর্নি জেনারেল রিচার্ড ক্লেইনডিয়েনস্টসহ নিক্সনের চারজন শীর্ষ সহযোগীকে বরখাস্ত করা হয়। এতে উডওয়ার্ড ও বার্নস্টেইনের প্রতিবেদনের সত্যতা প্রতিষ্ঠিত হয়।
এর কিছুদিনের মধ্যেই ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারি পরিপূর্ণ জাতীয় কেলেঙ্কারিতে রূপ নেয়। বিষয়টি নিয়ে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এর একটির নেতৃত্বে ছিলেন স্পেশাল প্রসিকিউটর আর্চিবল্ড কক্স এবং অন্যটিতে নর্থ ক্যারোলাইনার সিনেটর সাম এরভিন। তিনি ছিলেন সিনেট ওয়াটারগেট কমিটির চেয়ারম্যান। উদারপন্থি কক্স ছিলেন হার্ভার্ড ল স্কুলের অধ্যাপক আর রক্ষণশীল ডেমোক্র্যাট এরভিন ছিলেন সাংবিধানিক আইনে বিশেষজ্ঞ। তিনি সাত সদস্যের কমিটির নেতৃত্ব দেন। সিনেটের ওয়াটারগেট কমিটির শুনানি টেলিভিশনে প্রচার করা হতো। এরভিন তার কঠিন সব প্রশ্নের জন্য জাতীয়ভাবে আলোচনায় চলে আসেন।
এ সময় নিক্সনের অন্য সহযোগীদের আরো কুকীর্তি ফাঁস হতে থাকে। জানা যায়, নিক্সন তার প্রতিপক্ষকে হয়রানি করার জন্য অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দাগিরি চালাতে তরুণ এক কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেন। সাম এরভিন এটাকে ‘গেস্টাপো মানসিকতা’ বলে মন্তব্য করেন। এরই মধ্যে হোয়াইট হাউসের শীর্ষস্থানীয় এক কর্মকর্তা সপক্ষ ত্যাগ করেন এবং জানান, নিক্সন এ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতেন।
তবে সবচেয়ে স্পর্শকাতর তথ্য ফাঁস হয় ১৯৭৩ সালের জুলাইয়ে। তখন হোয়াইট হাউসের সহযোগী আলেক্সান্ডার বাটারফিল্ড সিনেট কমিটিকে জানান, নিক্সন গোপনে ওভাল অফিসে তার ফোনকল ও কথোপকথন রেকর্ড করেন। সাম এরভিন ও কক্স ওই টেপ তলব করেন। তবে নিক্সন তা দিতে অস্বীকৃতি জানান। এ নিয়ে সাংবিধানিক বিরোধ দেখা দিলে বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে গড়ায়।
দীর্ঘ আলোচনার পর হোয়াইট হাউস ওই রেকর্ডের লিখিত সারসংক্ষেপ দিতে সম্মত হন। সিনেটর এরভিন এটা মেনে নিলেও তা প্রত্যাখ্যান করেন স্পেশাল প্রসিকিউটর কক্স। নিক্সন তখন কক্সকে বরখাস্ত করার জন্য অ্যাটর্নি জেনারেল রিচার্ডসনকে নির্দেশ দেন। অ্যাটর্নি জেনারেল ওই নির্দেশ অমান্য করে নিজেই পদত্যাগ করেন। তার সহকারী উইলিয়াম রাকলেশঅসও একই পথ অনুসরণ করেন। এ পর্যায়ে সলিসিটর জেনারেল রবার্ট বর্ক ভারপ্রাপ্ত অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব নিয়েই কক্সকে বরখাস্ত ও তার কমিটিকে বাতিল করেন।
ওই ঘটনায় ওয়াশিংটনে রাজনৈতিক ঝড় শুরু হয়। এটা ‘স্যাটারডে নাইট ম্যাসাকার’ হিসেবে পরিচিতি পায়। সে সময় নিক্সনকে অভিশংসনের দাবি জোরালো হয়ে ওঠে। বাধ্য হয়ে তিনি একজন নতুন স্পেশাল প্রসিকিউটর নিয়োগ দেন। তিনি হলেন টেক্সাসের খ্যাতনামা আইনজীবী লিওন জাওরস্কি। ১৯৭৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর জাওরস্কির প্রতিবেদনে বলা হয়, চুরির ঘটনায় অভিযুক্ত সাতজন ছাড়াও ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারিতে আরো ১২ জন দোষ স্বীকার করেছেন। এছাড়া আরো চারজনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। নিক্সন এসব দাবি অস্বীকার করে বলেন, তিনি কোনো অন্যায় করেননি। তিনি পদত্যাগের দাবিও নাকচ করে দেন।
১৯৭৪ সালের জানুয়ারিতে বার্ষিক স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন ভাষণে নিক্সন বলেন, ওয়াটারগেট নিয়ে এক বছর অনেক হয়েছে, আর নয়। কিন্তু এ ইস্যু বিপন্ন প্রেসিডেন্টের পিছু ছাড়ছিল না। স্পেশাল প্রসিকিউটর জাওরস্কি এবং সিনেট ওয়াটারগেট কমিটি হোয়াইট হাউসের কাছে রেকর্ডের টেপ ও অনুলিপি চাইতে থাকে। এদিকে নিক্সনের জনপ্রিয়তাও কমতে থাকে। এ পর্যায়ে প্রেসিডেন্টকে অভিশংসন করার উদ্যোগ নেয় সংসদের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ।
নিক্সন দাবি করতে থাকেন, তিনি কোনো আইন ভাঙেননি এবং ওই চুরি সম্পর্কে আগেভাগে কিছু জানতেন না। তিনি টেপ সরবরাহে অস্বীকৃতি জানাতে থাকেন। এ সময় গ্র্যান্ড জুরি নিক্সনকেই বিচারের মুখোমুখি করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। তবে জাওরস্কি তাতে সায় দেননি। কারণ প্রেসিডেন্ট সাংবিধানিকভাবে দায়মুক্তি সুবিধা পেয়ে থাকেন।
১৯৭৪ সালের এপ্রিলে নিক্সন টেপ ও অনুলিপি সরবরাহের ঘোষণা দেন। হোয়াইট হাউসে তার আলোচনার বিষয়বস্তু জেনে মানুষ স্তব্ধ হয়ে যায়। এতে দেখা যায়, তহবিল সংগ্রহে ব্ল্যাকমেইল করার মতো বিষয় নিয়েও প্রেসিডেন্ট আলোচনা করেছেন। ওই বছরের জুনে খবর প্রকাশ হয়, ২১ ডেমোক্র্যাট সদস্য নিক্সনের অভিশংসনের পক্ষে ভোট দেবেন। ১৯৭৪ সালের ২৬ জুলাই নিক্সনকে অভিশংসনের প্রস্তাব তোলা হয়।
নিক্সনের টেপ প্রকাশ হলে দেখা যায়, তিনি ওই চুরির ঘটনা সম্পর্কে সবকিছুই জানতেন এবং একে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টায় নেতৃত্ব দেন। ওই টেপটি ‘দ্য স্মোকিং গান’ হিসেবে পরিচিতি পায়। টেপ প্রকাশের পর নিক্সনের জনসমর্থন তলানিতে ঠেকে। ওই সময় তার ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা তাকে বলেন, তিনি পদত্যাগ না করলে তার অভিশংসন অবধারিত।
১৯৭৪ সালের ৮ আগস্ট নিক্সন পদত্যাগের ঘোষণা দেন। সে সময় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি ভুল স্বীকার করেন। ভাইস প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড ফোর্ড প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন। তিনি ওয়াটারগেট অপরাধের জন্য নিক্সনকে পূর্ণাঙ্গ ক্ষমা প্রদর্শন করেন। নিক্সন অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটলেও আমেরিকার রাজনীতিতে ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারির প্রভাব হয় সুদূরপ্রসারি। আমেরিকার রাজনীতি চিরতরে বদলে যায়।
ওয়াটারগেটের প্রতিবেদন নিয়ে উডওয়ার্ড ও বার্নস্টেইনের লেখা অল দ্য প্রেসিডেন্ট’স মেন বই বেস্ট সেলার হয়। বিষয়টি নিয়ে তৈরি সিনেমাও হয় সুপারহিট।
২০০৫ সালের ৩১ মে ওয়াশিংটনের সবচেয়ে বড় গোপনীয় বিষয় ফাঁস হয়। ভ্যানিটি ফেয়ার ম্যাগাজিনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারির সূত্র ‘ডিপ থ্রোট’ ছিলেন এফবিআইয়ের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা মার্ক ফেল্ট। ওই তথ্য প্রকাশের সময় ফেল্টের বয়স প্রায় ৯০ বছর। জীবনসায়াহ্নে এসে তিনি নিজেই তার পরিচয় প্রকাশ করতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। পরে উডওয়ার্ড ও বার্নস্টেইন এবং ওয়াশিংটন পোস্টের সম্পাদকও তার পরিচয় নিশ্চিত করেন।
লক্ষণীয় ব্যাপার হচ্ছে, এর আগে ডিপ থ্রোটের পরিচয় নিয়ে বহু গবেষণা হয়েছে। তবে কেউই তার আসল পরিচয় বের করতে সক্ষম হননি। তিন দশকের বেশি সময় ধরে ওই দুই রিপোর্টারও কখনো তার নাম-পরিচয় প্রকাশ করেননি।
কী অসাধারণ পেশাদারি সততা!
লেখক : বার্তা সম্পাদক, আমার দেশ