শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীন, সার্বভৌম, সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্থপতি উল্লেখ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানউল্লাহ বলেছেন, জিয়াউর রহমানই বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের মানুষের জন্য বিশেষ সম্মান ও মর্যাদা এনে দিয়েছিলেন। একমাত্র শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এদেশে সবার জন্য কথা বলার এবং রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। যার কারণে আমরা আজ স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছি।
বৃহস্পতিবার সকালে যাতে বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে জিয়া পরিষদ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ বলেন, জিয়াউর রহমান এমনই একজন রাষ্ট্রনায়ক, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ে তার ওপর গবেষণা করা হয়। কেননা, একটা সার্বভৌম রাষ্ট্রের মৌলিক ভিত্তি তিনি রচনা করেছিলেন, যেটা স্বাধীনতার পরপরই হওয়া উচিত ছিল। তিনিই স্বাধীন দেশের মধ্যেই আমলাতন্ত্র, সামরিক বাহিনী ও রাজনীতির মধ্যে একটা ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি বাংলাদেশে উৎপাদনের রাজনীতি চালু করেছিলেন। তিনিই এই অঞ্চলের মানুষকে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ করে আমাদেরকে আত্ম-পরিচয়ের শক্তিতে বলিয়ান করেছিলেন।
জিয়া পরিষদ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি প্রফেসর ড. ফকির রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. এ টি এম জাফরুল আযম। অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন জিয়া পরিষদ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আহমেদ শিশিম, জিয়া পরিষদ, গাজীপুর জেলা শাখার সভাপতি মো. ইয়াকুব মিয়া। জিয়া পরিষদ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর সরকারের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন জিয়া পরিষদ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. রবিউল ইসলাম। এছাড়া অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ডিন, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন দপ্তরের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ঐতিহাসিক ০৭ নভেম্বর ও শহীদ জিয়াউর রহমানের উপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।