পাবনার ঈশ্বরদীতে নির্বাচনি প্রচারে বিএনপির নেতাকর্মী ও সাধারণ জনতার ওপর হামলার জন্য জামায়াতে ইসলামীকে দায়ী করেছে বিএনপি। একই সঙ্গে এই হামলাকে পরিকল্পিত আখ্যা দিয়ে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে দলটি।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এক বিবৃতিতে বিএনপি এমন দাবি করে। এ ঘটনায় বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়ে চিকিৎসাধীন বলে জানিয়েছে দলটি।
বিবৃতিতে বলা হয়, জামায়াতে ইসলামী মনোনীত স্থানীয় সংসদ সদস্য প্রার্থী আবু তালেব মন্ডল নিজে এই আক্রমণে নেতৃত্ব দিয়েছেন। নির্বাচনি প্রচারে জামায়াত নেতাকর্মীরা তাদের সহজাত ধর্মীয় প্রলোভন ও জান্নাতের টিকিট বিক্রির মতো আপত্তিকর বিষয়কে নির্বাচনি প্রচারের উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করায় ধর্মপ্রাণ সাধারণ মানুষ তার প্রতিবাদ করলে জামায়াত কর্মীরা তাদের ওপর মারমুখী আক্রমণ করে। বিএনপির নেতাকর্মীরা বিনা প্ররোচনায় তাদের আক্রমণের শিকার হন। দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় প্রকাশিত ছবিতে জামায়াত কর্মী তুষারকে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে আক্রমণরত দেখা গেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, অথচ দুই-একটি গণমাধ্যমে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রকাশ করছে। সহিংসতায় এই ঘটনার মাধ্যমে দলটির উগ্রতার নগ্ন চিত্র দেশবাসীর সামনে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। বিএনপি শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক চর্চার প্রতি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, অপরদিকে অযৌক্তিক দাবি-দাওয়ার মাধ্যমে জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিঘ্নিত করার অপচেষ্টা জনগণ প্রত্যাখান করায় মরিয়া এই দলটি এখন সশস্ত্র আক্রমণের ঘৃণ্য পথ বেছে নিয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদ দল শান্তিপূর্ণ নির্বাচনি পরিবেশ বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর।
দলটির ভাষ্য, লাখ-কোটি সমর্থকের দল বিএনপির এই সংযম ও উদারতাকে দুর্বলতা মনে করা ঠিক হবে না। শত উসকানিতেও সংযম ও ধৈর্য প্রদর্শনে বিএনপি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। কারণ বিএনপি জানে, আগামী জাতীয় নির্বাচন অনিশ্চিত হলে দেশের মানুষের বহুল প্রত্যাশিত গণতান্ত্রিক উত্তরণের স্বপ্ন নিঃশেষিত হয়ে যাবে।
বিএনপি এই ন্যক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদ ও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত ও বিচারের আওতায় এনে আগামী জাতীয় নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে সরকারি পদক্ষেপের জোর দাবি জানিয়েছে দলটি।