হোম > রাজনীতি

১০০ বছর প্রচেষ্টা চালিয়েও বিএনপি গণভোট ঠেকাতে পারবে না: নাসিরুদ্দীন পাটোয়ারী

স্টাফ রিপোর্টার

জনগণ গণভোট চায়, সেখানে বিএনপি চাচ্ছে না কিন্তু ১০০ বছর প্রচেষ্টা চালিয়েও দলটি গণভোট ঠেকাতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি- এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী।

তিনি বলেন, রাষ্ট্র ঠিক করতে হলে সংস্কার যখন দরকার, তখন বিএনপির মত একটি বড় দল এ সংস্কার থেকে বেরিয়ে গেছে। যে রাজনৈতিক দল সংস্কারের বাহিরে চলে গেছে। কিন্তু দেশের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তার জন্যই তাদের সংস্কারের পক্ষে থাকতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের যে বড় অংশ গণভোট চায়, সেখানে বিএনপি একেবারে চুনোপুঁটি। এত বড় বাহিনীর সামনে তারা দাঁড়াবে কী কিভাবে? অতীত থেকে তারা যদি শিক্ষা না নেয়, তাহলে এনসিপির তো কিছু করার নেই।

বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) শফিকুল কবীর অডিটোরিয়ামে ন্যাশনাল হেলথ অ্যালায়েন্সের (এনএইচএ) আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এনসিপির শীর্ষ এই নেতা এসব কথা বলেন। এ সময় এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা ও মুখ্য সংগঠক দক্ষিণাঞ্চলের হাসনাত আব্দুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।

নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, জনগণ গণভোটের কথা বললেও আপনারা (বিএনপি) গণতন্ত্রের কথা বলে এড়িয়ে যান। তাহলে তো গণতন্ত্রের কিছু থাকল না, কারণ গণভোটেই জনগণের মত প্রকাশ পায়। জিয়াউর রহমান গণমানুষের কথা ভেবেছিলেন বলেই 'হ্যা' ভোটের মাধ্যমে নিজের বৈধতা নিয়েছেন।

তিনি বলেন, গত এক বছরে শিক্ষার্থীরা যে দাবি নিয়ে এসেছিল প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরও কোনোটাই বাস্তবায়ন করতে পারেনি সরকার। শুধু শিক্ষার্থীরা নয়, নানা শ্রেণির মানুষ রাস্তায় নেমেছিল। প্রতিশ্রুতি পেয়েও দাবি পূরণ না হওয়ায় আবারও রাস্তায় নামতে হচ্ছে। এখন কথা বললেই অনেক উপদেষ্টা নাখোশ হোন। কিন্তু ওই চেয়ারে বসে সেটি করতে পারেন না।

এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, বর্তমান সরকার একা একা সব করতে গেছে। শিক্ষকরা আন্দোলন করেছিল তাদের বেধড়ক পিটিয়েছে, এরপর নার্স, চিকিৎসক থেকে শুরু করে সবাইকে একই পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়েছে। মানুষ সংস্কারের প্রয়োজন আছে নাকি নেই সেই চিন্তা করছে। বিগত ১৫ বছরে স্বৈরাচার হাসিনা বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো রাষ্ট্রের কোনো যন্ত্র নেই যা ব্যবহার করেনি। এখনও তাদের অনেক নেতাকর্মী নিখোঁজ। কাজেই রাষ্ট্রের মূল জায়গায় সংস্কার দরকার। যাতে আর কাউকে গুমের শিকার হতে না হয়।

এ সময় এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা বলেন, স্বৈরাচারের সময়ে জুলাই বিপ্লবে আহতদের চিকিৎসা দিতে বারণ করা হয়েছিল। অথচ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজই ছিল মানুষকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া। সেখানে রাজনৈতিক পরিচয় কোনো নির্ভর করার কথা নয়। এই যে স্বাস্থ্য খাতেও রাজনৈতিক ছাঁয়া, এটি আমরা কখনোই চাইনা। স্বাস্থ্যখাতের আমূল পরিবর্তন দরকার। এই সময়ে এসেও আমাদের হাসপাতালগুলোতে রোগীদের মেঝেতে থাকতে হয়। এদেশে স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া শুধু ক্ষমতাধরদের জন্য সহজ, কিন্তু এটি তো হওয়ার কথা ছিল না। স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও এমন চিত্র দুঃখজনক। এই ভঙ্গুর অবস্থা থেকে আমাদের পুরো চিত্র বদলে ফেলতে হবে।

তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশন যে প্রস্তাবনা দিয়েছে, তার কোনোটাই আমরা বাস্তবায়ন করতে দেখিনি। আমাদের প্রাথমিক চিকিৎসাব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে। রোগী ধনী, গরিব যে-ই হোক সেবা পাওয়াটাই মুখ্য হবে।

‘দি ডে অব জার্মান ইউনিটি’ উদযাপন অনুষ্ঠানে জামায়াত নেতারা

আওয়ামী নৈরাজ্যের প্রতিবাদে রাজধানীতে জামায়াতের বিক্ষোভ

স্বাস্থ্যক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন চান ডা. তাসনিম জারা

যে কোন নৈরাজ্যের উপযুক্ত জবাব দিতে প্রস্তুত ছাত্রশিবির

রাজধানীতে কাল ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি

৮ দলের আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ নাসীরুদ্দীনের

আওয়ামী লীগকে ঠেকাতে হাসনাত আবদুল্লাহই যথেষ্ট

গণভোটের আড়ালে পরাজিত স্বৈরাচারকে পুনর্বাসনের চেষ্টা চলছে

জাতীয় যুবশক্তির ৪১ সদস্যের কমিটি থেকে ২৯ জনের পদত্যাগ

দেশের চলমান সংকট উদ্দেশ্যমূলক: মির্জা ফখরুল