কিছু সিন্ডিকেটবাজ শিক্ষার্থীদের হাতে মানহীন বই দেওয়ার পাঁয়তারা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক খান মুহাম্মদ মুরসালীন।
ঢাকা- ৬ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী এই নেতা পুরোনো ঢাকার বাংলাবাজারে পুস্তক প্রকাশকদের সাথে মতবিনিময়কালে এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, “বছরের প্রথম দিনে নতুন বই হাতে পাওয়া দেশের কোটি কোটি শিক্ষার্থীর মনে উৎসব বয়ে আনে। কিন্তু আমরা অত্যন্ত দুঃখের সাথে দেখছি হাতে গোনা কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কাগজের মান খারাপ দিচ্ছে, বাজে মানের বাইন্ডিং করছে। ফলে নিম্নমানের বই যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের হাতে। মানসম্মত বই আমাদের সন্তানদের শিক্ষার মতোই মৌলিক অধিকার। ফলে এই অধিকারহরণকারীদের বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে।”
মুরসালীন বলেন, “বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা প্রকাশনা খাতের ওপর দাঁড়িয়ে আছে, কিন্তু এই খাতকে শিল্পে পরিণত করার কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। পেশায় আমি নিজেও একজন প্রকাশক। আমার দাদাজান একুশে পদক প্রাপ্ত সাহিত্যিক খান মুহাম্মদ মঈনুদ্দীন এই বাংলাবাজারেই ১৯৪৮ সালে আমাদের প্রকাশনা সংস্থা গড়ে তোলেন। তারই ধারাবাহিকতায় আমিও প্রকাশনায় নিজেকে নিবেদিত রেখেছি। ফলে এই খাতকে শিল্পে পরিণত করার দায় আমি সবসময় অনুভব করি।”
সৃজনশীল প্রকাশনার দুরবস্থা তুলে ধরে তিনি বলেন, “আমাদেরকে বইমেলা নির্ভর ব্যবসা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। সারা দেশের লাইব্রেরিগুলোর উন্নয়ন প্রয়োজন। পাঠকদেরকে বিভিন্ন গবেষণা বা জ্ঞান আহরণের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে দিতে হবে। সরকারি ক্রয়ে স্বচ্ছতা আনতে হবে। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গসহ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে আমাদের বাংলাদেশি বইয়ের বিপুল সংখ্যক পাঠক রয়েছে। তাদের কাছে কীভাবে সহজে আমাদের প্রকাশিত বই রপ্তানি করা যায়, সেই পলিসি ডেভেলপ করতে হবে।”
এ সময় প্রকাশক নেতৃবৃন্দ এই খাতের সংকট, সীমাবদ্ধতা ও সম্ভাবনাগুলো তুলে ধরেন। ভবিষ্যতে এ সকল বিষয়ে দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়া হবে প্রতিশ্রুতি দেন এনসিপির এই নেতা।