ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ
আলোচিত বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ তার বিরুদ্ধে কনটেম্পট অব কোর্টের আবেদন করেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামীম।
এর আগে গত শনিবার একটি বেসরকারি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে ‘এই ট্রাইব্যুনালের বিচার মানি না’ বলে মন্তব্য করেন ফজলুর রহমান। এর পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
আগামী সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ–৪ (ইটনা–মিঠামইন–অষ্টগ্রাম) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পাওয়া ফজলুর রহমান দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ছিলেন। যদিও শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে গত ২৬ আগস্ট থেকে তিন মাসের জন্য তার দলীয় পদ স্থগিত রয়েছে। তা সত্ত্বেও দল থেকে প্রাথমিক মনোনয়ন পান তিনি।
বিভিন্ন সময়ে আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় কেন্দ্রে থেকেছেন ফজলুর রহমান। সবশেষ ট্রাইব্যুনাল নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে ফের আলোচনায় আসেন তিনি। ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়েরের পর ফজলুর রহমানের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে মানুষের মধ্যে কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে।
কারণ, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে কারও বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হলে সেই ব্যক্তি জাতীয় সংসদ এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে গত অক্টোবরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে সংশোধনী আনা হয়। তবে সেই অভিযোগ অবশ্যই মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় হতে হবে।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের পর গেজেট প্রকাশ করেছে সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল হলে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার অযোগ্য হবেন। এছাড়া কোনো স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের সদস্য, কমিশনার, চেয়ারম্যান, মেয়র বা প্রশাসক হিসেবে নির্বাচিত হতে পারবেন না বা এসব পদে নিয়োগ পাবেন না। এমনকি প্রজাতন্ত্রের (সরকারের) কোনো সেবায় নিয়োগ পাওয়ারও অযোগ্য হবেন। সরকারের কোনো অফিসে (পাবলিক অফিস) থাকতে পারবেন না।
তবে ট্রাইব্যুনাল কাউকে অব্যাহতি বা খালাস দিলে তার ক্ষেত্রে এসব বিষয় প্রযোজ্য হবে না বলেও আইনটির সংশোধনীতে উল্লেখ করা হয়েছে।