শোকরানা ও দোয়া অনুষ্ঠানে সালাহউদ্দিন
যতদিন স্বৈরাচার হাসিনার ফাঁসি কার্যকর না হবে দেশ ততদিন স্থিতিশীল হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
শনিবার রাজধানীর উত্তরার শহীদ মুগ্ধ মঞ্চে সদ্য বিএনপিতে যোগ দেওয়া মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ আয়োজিত 'খুনি হাসিনার ফাঁসির রায়ের প্রেক্ষিতে শোকরানা সভা ও দোয়া’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, মুজিব-হাসিনার ইতিহাস বাংলাদেশে গণতন্ত্র হত্যার ইতিহাস, হত্যাযজ্ঞের রাজনীতির নামে অপরাজনীতি করার ইতিহাস। শেখ হাসিনা চেয়েছিল বাস্তবে বাকশাল থাকবে। কিন্তু উপরে থাকবে একটি গণতন্ত্রের মুখোশ ও সাংবিধানিক একটি শাসনতন্ত্রের নমুনা। এদেশের মানুষের পক্ষে কখনোই মুজিব এবং হাসিনা কোনো ভূমিকা রাখেনি। মুজিব ভূমিকা রেখেছিল এদেশে একদলীয় স্বৈরাচার বাকশাল প্রতিষ্ঠার জন্য এবং নিজেকে একনায়ক হিসেবে ঘোষণা করার জন্য। হাসিনা সেই বাকশালের উত্তরসূরি। এটা হলো- বাপ বেটির মধ্যে ব্যবধান। কিন্তু প্রোডাক্ট একই।
স্বৈরাচার শেখ হাসিনার শেকড় ভারতে উল্লেখ করে স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, তারা সেখানেই আশ্রয় নিয়েছে -যেখানে তাদের ঘরবাড়ি। তাদের শিকড় যেখানে, সেখানে আশ্রয় নিয়েছে। শেখ হাসিনা কখনোই এদেশের মানুষ ছিলেন না। তারা কখনোই এদেশে রাজনীতি করেননি। এদেশের মাটি ও মানুষের সাথে তাদের কোনো সম্পর্ক ছিল না।
২০০৯ সালেই হাসিনাবিরোধী আন্দোলন উৎপত্তি জানিয়ে তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান হয়েছে ৩৬ দিনে। এটি অনেকেই বলে থাকেন। কিন্তু এর আগে ৩৬টি রক্ত পাড়ি দিতে হয়েছে। হাসিনাবিরোধী আন্দোলনের উৎপত্তি হয়েছে ২০০৯ সালে আর তার সমাপ্তি হয়েছে জুলাই এর গণঅভ্যুথানে। ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল স্বাধীনতার ইতিহাস।
বক্তব্যে জুলাই ছাত্র গণঅভ্যুত্থানকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা যাবে না উল্লেখ করে বিএনপি স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, জুলাই ছাত্র গণঅভ্যুত্থানকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা যাবে না। কারণ যারা একাত্তরের বিজয়কে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করেছে তারা কিন্তু আজকে শেষ হয়ে গেছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থান সকলের প্রচেষ্টায় হয়েছে। কোনো একটি ছাত্র সংগঠন এটি করেছে, এমন দাবি করা যাবে না। জুলাইয়ের ধারক, বাহক, চেতক এমন দাবি করা যাবে না।
শোকরানা ও দোয়া অনুষ্ঠানে মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ ছাড়াও অন্যান্যদের মাঝে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১৪ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী সানজিদা ইসলাম তুলি, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক, সদস্যসচিব মোস্তফা জামান, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।