গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে পদত্যাগ করছেন রাশেদ খান। তিনি বিএনপিতে যোগ দিয়ে আসন্ন নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
শুক্রবার রাতে এক অডিও বার্তার মাধ্যমে এ তথ্য জানান গণঅধিকারের সভাপতি নুরুল হক নুর। তবে দলের সভাপতি নুরুল হক নুর দলীয় প্রতীক ট্রাক মার্কায় নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছেন গণঅধিকারের উচ্চতর পরিষদের সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ।
তিনি বলেন, গণঅধিকার পরিষদ থেকে পদত্যাগ করে রাশেদ খান ধানের শীষে নির্বাচন করবেন এবং তিনি বিএনপিতে যোগদান করে বিএনপির সদস্য পদ নেবেন। তিনি বিএনপির প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করবেন।
নুরুল হক বলেন, ফ্যাসিবাদের উত্তাল সময়ে বিএনপি গণঅধিকার পরিষদসহ প্রায় ৪২টি রাজনৈতিক দল ও জোট আমরা ফ্যাসিবাদ পতনে একদফার দাবিতে যুগপৎ আন্দোলন করেছিলাম। সেই সময় থেকেই আমাদের আলাপ আলোচনা হয়েছে যে, ফ্যাসিবাদ পতন পরবর্তী রাষ্ট্রকে নতুনভাবে গড়ে তোলার লক্ষে আমরা রাষ্ট্র সংস্কার করব। সেই লক্ষে আমরা একসাথে নির্বাচন এবং একসাথে আগামীতে জাতীয় সরকার করব। যেহেতু আন্দোলনটি কার্যত বিএনপির নেতৃত্বেই হয়েছে। বিএনপির সামগ্রিক সমন্বয়ের মাধ্যমেই হয়েছে। সেই ক্ষেত্রে বিএনপি নেতৃত্ব দিয়েছে। বর্তমান আরপিএর বিধান অনুযায়ী জোট করলেও ভোট করতে হবে নিজস্ব প্রতীকে। তো স্বাভাবিকভাবেই সব এলাকায় হয়ত সব মার্কা নিয়ে সবাই জয় লাভ করতে পারবে না। যে কারণে আমাদের যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের অনেকেই নির্বাচনে জেতার কৌশল হিসেবে তারা বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদ নিয়ে ধানের শীষে নির্বাচন করছে। যেহেতু আমরা একসাথে সরকারও করব। আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তী গত দেড় বছরে আমরা নিজেরা আলাপ আলোচনা সমন্বয়ের মাধ্যমে একই অবস্থানে থেকে কাজ করেছি। সেক্ষেত্রে আমরা আমাদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানকে নির্বাচনে জয়লাভের কৌশলের অংশ হিসেবে দল থেকে ধানের শীষে নির্বাচন করার অনুমতি দিয়েছি। সে গণঅধিকার পরিষদের পদ থেকে পদত্যাগ করে বিএনপির সদস্য পদ নিয়ে নির্বাচন করবে। আমরা খুব দ্রুত একজনকে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দেব।