হোম > রাজনীতি

দেশবিরোধী সব ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করুন

জামায়াত আমির

স্টাফ রিপোর্টার

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ফ্যাসিবাদের দেশি বিদেশি দোসররা এখনো থেমে নেই। তারা নানামুখী ষড়যন্ত্র ও কূটকৌশলের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তারই জ্বলন্ত প্রমাণ শরীফ ওসমান হাদীর ওপর ন্যক্কারজনক হামলা। এই প্রেক্ষাপটে দেশবিরোধী সব ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার জন্য আমরা দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এই আহ্বান জানান।

যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশে ১৪ ডিসেম্বর ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ এবং ১৬ ডিসেম্বর ‘মহান বিজয় দিবস’ পালন করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে এই বিবৃতি দেন তিনি। জামায়ত আমির বলেন, ১৪ ডিসেম্বর ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ এবং ১৬ ডিসেম্বর ‘মহান বিজয় দিবস’।

আমাদের জাতীয় জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ এই দুটি দিন। জাতির ইতিহাসে দিবস দুটি আত্মত্যাগ, সংগ্রাম ও গৌরবের চিরন্তন স্মারক। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য যাঁরা নিজেদের অমূল্য জীবন উৎসর্গ করেছেন- সেই সব শহীদ বুদ্ধিজীবী এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান আমরা গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করছি। মহান আল্লাহ তাআলার দরবারে তাঁদের সকলের রূহের মাগফিরাত কামনা করছি।

তিনি আরো বলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে যারা দেশমাতৃকার মুক্তির সংগ্রামে আত্মনিয়োগ করেছিলেন, সেই সব বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রতি আমরা গভীর সম্মান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যূত্থানে শহীদ হওয়া সবার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। পাশাপাশি সব শহীদের শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।

জামায়াত আমির বলেন, দেশবাসী আজ এমন এক সময় ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ ও ‘মহান বিজয় দিবস’ পালন করতে যাচ্ছে, যখন ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে দেশ ফ্যাসিবাদী সরকারের কবল থেকে মুক্ত হয়েছে। দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছরের অপশাসন, জুলুম-নির্যাতন ও গুম-খুনের নিষ্ঠুর অভিশাপ থেকে দেশের মানুষ মুক্তি পেয়েছে এবং শান্তি,স্বস্তি ও স্থিতিশীলতার প্রত্যাশা করছে।

একই সঙ্গে দেশ ভঙ্গুর অর্থনৈতিক অবস্থা থেকে উত্তরণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিপরীত পক্ষে ফ্যাসিবাদের দেশি বিদেশি দোসররা এখনো থেমে নেই। তারা নানামুখী ষড়যন্ত্র ও কূটকৌশলের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তারই জ্বলন্ত প্রমাণ গত ১২ ডিসেম্বর শরীফ ওসমান হাদীর ওপর ন্যক্কারজনক হামলা। এই প্রেক্ষাপটে দেশবিরোধী সব ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার জন্য আমরা দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি আরো বলেন, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সুদৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করে আলোচনা সভা, র‌্যালি ও দোয়ার মাধ্যমে ১৪ ডিসেম্বর ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ এবং ১৬ ডিসেম্বর ‘মহান বিজয় দিবস’ যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে পালন করার জন্য আমি জামায়াতে ইসলামীর সব শাখা সংগঠন ও দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে ‘মহান বিজয় দিবস’ উপলক্ষে আমি দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি এবং দেশের সার্বিক সুখ, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করছি।

জামায়াতের তিন দিনব্যাপী কর্মসূচি:

১৪ ডিসেম্বর রাজধানী ঢাকার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন হলে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

১৫ ডিসেম্বর রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে (আইডিইবি) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

১৬ ডিসেম্বর সব ৭টায় ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কেন্দ্রীয় যুব ও ক্রীড়া বিভাগের উদ্যোগে যুব ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হবে।

এ ছাড়া সারাদেশে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করে আলোচনা সভা, র‌্যালি ও দোয়ার মাধ্যমে ১৬ ডিসেম্বর ‘মহান বিজয় দিবস’ যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে পালন করার জন্য জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে সব শাখা সংগঠন ও দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান জামায়াত আমির।

বুদ্ধিজীবীদের হত্যা ছিল সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্র: চরমোনাই পীর

ডাকসু ভিপি সাদিককে নিয়ে দেয়া বক্তব্যে রিজভীর দুঃখ প্রকাশ

মেজর আখতারের যোগদান নিয়ে যা বলল জামায়াত

কোটা আন্দোলনকারীদের রাজাকার বলা মেজর আখতারকে জামায়াতে নেয়ায় প্রতিবাদ

বারবার অনুরোধ করতাম হাদি সাবধানে থাকো, বের হইয়ো না

জামায়াতে যোগদানের যে কারণ জানালেন মেজর আখতার

মেজর আখতারের জামায়াতে যোগদান, চমক নাকি দেউলিয়াত্ব

বাংলাদেশে দিল্লির মসনদ জ্বালিয়ে দেওয়া হবে: হাসনাত

ষড়যন্ত্র রুখতে ঐক্যের ডাক তারেক রহমানের

অর্ধশতাব্দী পার হলেও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়নি