বিশ্ব ক্রিকেটে শহিদ আফ্রিদি পরিচিত তার মারকাটারি ব্যাটিংয়ের কারণে। পাকিস্তানের ক্রিকেটে নামের সঙ্গে ‘আফ্রিদি’ থাকলেই যেন সেই ক্রিকেটার ব্যাট হাতে বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন। শহিদ আফ্রিদির পথ ধরে শাহিন আফ্রিদির পর এবার ‘আফ্রিদি’ নামের সার্থকতা প্রমাণ করলেন আব্বাস আফ্রিদি। হংকং ইন্টারন্যাশনাল সিক্সেস টুর্নামেন্টে কুয়েতের বিপক্ষে এক ওভারে ছয় ছক্কা মারার কীর্তি গড়েছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক আব্বাস আফ্রিদি।
কুয়েতের রান তাড়া করতে নেমে পাকিস্তানের জয়ের জন্য শেষ ২ ওভারে দরকার ছিল ৬৭ রান। ইয়াসিন প্যাটেলের করা পঞ্চম ওভার থেকেই ৩৮ রান তুলে নেয় পাকিস্তান। টানা ছয় বলে আফ্রিদি ছয় ছক্কার পর ষষ্ঠ ডেলিভারি ‘নো’ হওয়ায় শেষ বলে লেগ বাই থেকে আসে ১ রান। রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়ার আগে আফ্রিদি ১২ বলে খেলেন ৫৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। ৮ ছয়ের পাশাপাশি তার ইনিংসে ছিল একটি চারের মার। বাকি কাজটুকু সারেন শাহিদ আজিজ। ৫ বলে ২৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি। শেষ বলে জয় তুলে নেওয়ার আগে পাকিস্তানের হয়ে খাজা নাফে ২৫ ও মোহাম্মদ শেহজাদ করেন ১৪ রান। কুয়েতের হয়ে ২ ওভারে ৫৫ রান দেন ইয়াসিন।
কুয়েতের বিপক্ষে ওভারের সবকটি বলে ছক্কা হাঁকিয়ে স্বীকৃত ক্রিকেটে ১ ওভারে ছয় ছক্কা হাঁকানো একাদশ ব্যাটার বনে গেলেন আফ্রিদি। তার আগে আরো ১০ জন স্বীকৃত ক্রিকেটে ১ ওভারে ছয় ছক্কা হাঁকিয়েছেন। আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের এখন পর্যন্ত এক ওভারে ছয় ছক্কা হাঁকিয়েছেন ছয়জন। দক্ষিণ আফ্রিকার হার্শেল গিবস, ভারতের যুবরাজ সিং, ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাইরন পোলার্ড, নেপালের দীপেন্দ্র সিং এবং যুক্তরাষ্ট্রের জাসকরন মালহোত্রার পর গত ১৩ জুলাই এই তালিকায় সর্বশেষ নাম লেখান বুলগেরিয়ার মানান বশির।
গত বছরের জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয় আফ্রিদির। সবশেষ ম্যাচটি খেলেছেন গত জুলাইয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে। তিনি মূলত পেস বোলিং অলরাউন্ডার। ২৪ টি-টোয়েন্টির ২৩ ইনিংস বল করে তার দখলে আছে ৩৮ উইকেট। ১৫ ইনিংস ব্যাটিংয়ে নেমে করেছেন ১৩৫ রান।