সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে টেবিল টেনিস মিশ্র বিভাগে বাংলাদেশকে রৌপ্য পদক এনে দিয়েছেন খই খই মারমা ও জাভেদ আহমেদ। এই দুই পদকজয়ী খেলোয়াড়কে নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনে সংবাদ সম্মেলন করে টেবিল টেনিস ফেডারেশন। সেখানে পদক জয়ের সাফল্যের গল্প, সম্ভাবনা ও চাহিদার কথা বলেছেন তারা।
ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ আহমেদ সনেটও সংবাদ মাধ্যমের সামনে নিজেদের পরিকল্পনা ও সংকট তুলে ধরেছেন। পদকজয়ী খই খই মারমা বলেন, ‘গত ইসলামিক গেমসে বাংলাদেশ কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত খেলেছিল। এবার আমাদের লক্ষ্য ছিল অন্তত কোয়ার্টার পর্যন্ত যাওয়া। এরপর সম্ভব হলে এগিয়ে যাওয়া। কোয়ার্টারে প্রতিপক্ষ পাওয়ার পর জাভেদ ভাই বলল চান্স আছে। চেষ্টা করলাম, হয়ে গেল। আমি চাই, একদিন আমরা অলিম্পিকে কোয়ালিফাই করে খেলব। হোক সেটা সিঙ্গেল, ডাবল কিংবা টিম ইভেন্টে।’
খই খই মারমার স্বপ্ন বাস্তবায়ন কঠিন হলেও সম্ভব বলে মনে করেন জাভেদ। তিনি বলেন, ‘আমরা আরো সুযোগ-সুবিধা পেলে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এই রকম সাফল্য নিয়মিত আনতে পারব। জাতীয় দলে যারা খেলে তাদের অন্তত মাসিক বেতন বা আর্থিক আয়ের একটা নিশ্চয়তা থাকা দরকার।’
সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ বলেন, ‘আমাদের এই অর্জন একদিনে আসেনি। বিগত দিনের পরিশ্রম ও অভিজ্ঞতার মাধ্যমেই এই ফলাফল।’ সাবেক টিটি খেলোয়াড় ও বিকেএসপির কোচ মোস্তফা বিল্লাহ ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে বাংলাদেশ দলের কোচ ছিলেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের টেবিল টেনিসের ৫৩ বছর বয়সে এত বড় রেজাল্ট কখনো আসেনি। খেলোয়াড়রা অত্যন্ত আন্তরিক ছিল এবং সর্বোচ্চ চেষ্টাই করেছে। এতেই এই ফল এসেছে।’ ফেডারেশনের পক্ষ থেকে পদকজয়ীদের এক লাখ টাকা অর্থ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।