দুদিনের দলবদল শেষ
ঢাকা প্রথম বিভাগ ক্রিকেটের দলবদল নিয়ে কখনই খুব বেশি আলোচনা হয় না। তবে এবার ছিল ভিন্ন চিত্র। প্রথম বিভাগের দলবদলে ক্রিকেটার-ক্লাব কর্মকর্তাদের মতো আগ্রহ ছিল সাংবাদিকদেরও। কারণ, প্রথম বিভাগের আট দল লিগ বয়কটের ঘোষণা দিয়েছিল। গত ৫ ও ৬ আগস্ট মিরপুরে ক্রিকেট কমিটি ফর ঢাকা মেট্রোপলিসের (সিসিডিএম) অফিসে হওয়া দলবদলে অংশ নিয়েছে প্রথম বিভাগের ২০ দলের ১২ ক্লাব। লিগ বয়কটের ঘোষণা দেওয়া আট ক্লাবের কেউই অংশ নেয়নি এবারের দলবদলে। বাকি আট দলের বেশকিছু ক্রিকেটার দলবদলের টোকেন তুলে নিয়েছেন। নতুন দলে তারা নাম লেখাতে পারেননি, কারণ দলগুলো অংশ নেয়নি দলবদলে। তবে টোকেন তোলায় এসব ক্রিকেটার যে কোনো মুহূর্তে যে কোনো দলের হয়ে লিগে মাঠে নামতে পারবেন।
দলবদলের প্রথম দিনে আট দলের মোট ৪৭ ক্রিকেটার দলবদল করেছিলেন। গতকাল দ্বিতীয় ও শেষদিনে সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়ায় ১০৬-এ। তবে দলবদল হলেও ক্রিকেটাররা খানিকটা সন্দিহান লিগ মাঠে গড়াবে কি না- সেটা নিয়ে। কারণ, আট দল যে লিগ বয়কটের অনড় সিদ্ধান্ত থেকে এখনো সরে আসেনি। এ নিয়ে লিগ বয়কটের সিদ্ধান্ত নেওয়া ক্লাবগুলোর এক প্রতিনিধি আমার দেশকে বলেন, ‘আমরা এখনো সিদ্ধান্তে অনড় আছি।’
লিগ না হলে কিংবা বয়কটের সিদ্ধান্ত নেওয়া ক্লাবগুলোকে ছাড়াই খেলা মাঠে গড়ালে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন ক্রিকেটাররা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ক্রিকেটার জানান, সারা বছর তারা লিগের অপেক্ষায় থাকেন। শেষ পর্যন্ত লিগ মাঠে না গড়ালে আমাদের জীবন চালানোই কঠিন হয়ে যাবে। তিনি আরো যোগ করেন, আমরা কেউ বিসিবি কিংবা ক্লাবের পক্ষে নই। সবাই চাই খেলা মাঠে গড়াক, লিগ হোক। শেষ পর্যন্ত যদি বিসিবি-ক্লাব দ্বন্দ্বে লিগ না হয়, তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন ক্রিকেটাররাই। আমাদের আশা ক্লাব ও বিসিবি ব্যাপারটি দেখবে।
অন্যদিকে লিগের আয়োজক সিসিডিএমও আশাবাদী ক্লাবগুলো তাদের অনড় অবস্থান থেকে সরে এসে লিগে অংশ নেবে।
প্রথম বিভাগ লিগের দলবদলে অংশ নেওয়া ক্লাবগুলো
বিকেএসপি, বাংলাদেশ পুলিশ, বারিধারা ড্যাজলার্স, বসুন্ধরা রাইডার্স, ব্লুজ ক্রিকেটার্স, ঢাকা স্পার্টান্স, লালমাটিয়া ক্লাব, ওল্ড ডিওএইচএস, প্রাইম দোলেশ্বর, শেখ জামাল ক্রিকেটার্স, শাইনপুকুর, উত্তরা ক্রিকেট ক্লাব।