বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড তৃতীয় টি- টোয়েন্টি আজ
প্রথম ম্যাচে হার, দ্বিতীয় ম্যাচে জয়। তিন ম্যাচ সিরিজে এখন ১-১ সমতা। আজ সিরিজের তৃতীয় এবং শেষ ম্যাচ। যে জিতবে সিরিজ তার। এই সমীকরণ নিয়েই মাঠে নামছে বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ড। শেষ ম্যাচে আগে গতকাল নিজেদের প্রস্তুতিটা বেশ ভালোভাবেই নিয়েছে দুই দল। শেষ ম্যাচ জিতে সিরিজ জিততে মরিয়া উভয় দল। আজ দুপুর ২টায় চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে শুরু হবে এই ম্যাচ।
সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে বাংলাদেশ স্কোয়াডে এসেছে এক বদল। প্রথম দুই ম্যাচে দল থেকে বাদ পড়া শামীম পাটোয়ারীকে দলে ডাকা হয়েছে। সম্ভবত একাদশেও থাকছেন তিনি।
এটি শুধু বছরের শেষ নয়, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ এটি। সিরিজ জয় যেমন লক্ষ্য ঠিক তেমনি বছরটা জয় দিয়ে রাঙাতে চায় লিটন দাসের দল। মিডল অর্ডারে আজ নুরুল হাসান সোহানের জায়গায় সুযোগ পেতে পারেন বাঁহাতি শামীম পাটোয়ারি। শেষ ম্যাচে রিশাদ হোসেনকে বিশ্রামে রাখে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। তার জায়গায় সুযোগ পেয়ে ২৫ রানে তিন উইকেট শিকার করেন শেখ মাহেদি। ইনফর্ম এই অলরাউন্ডারকে বসিয়ে ফের রিশাদকে খেলানোর ‘ঝুঁকি’ কি নেবে বাংলাদেশ দল? এছাড়া এই সিরিজে এখনো রান না পাওয়া তানজিদ হাসান তামিমকে এই ম্যাচে একাদশের বাইরে রাখার সম্ভাবনা আছে। সেক্ষেত্রে মিডল অর্ডারে খেলা সাইফ হাসান কিংবা অধিনায়ক লিটন দাস খেলতে পারেন ওপেনিংয়ে। একাধিক পরিবর্তনের সুযোগ থাকলেও শেষ পর্যন্ত কাকে একাদশে বাইরে রাখবে টিম ম্যানেজমেন্ট তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে টস হওয়া পর্যন্ত।
একাধিক পরিবর্তনের সুযোগ থাকলেও জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। কারণ, বিশ্বকাপের আগে নিজেদের প্রস্তুতি ও আত্মবিশ্বাস সেরা পর্যায়ে রাখতে এই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই। এ নিয়ে বোলিং কোচ শন টেইট বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ম্যাচ জেতা মানেই আত্মবিশ্বাস কুড়িয়ে নেওয়া। তাই সেরা যে কাজটা আমাদের করার আছে সেটা হলো ভালো খেলা।’
একই চিন্তা নিয়ে মাঠে নামবে আয়ারল্যান্ডও। তাদের লক্ষ্যও থাকবে সিরিজ জয় নিশ্চিত করা। প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশকে হারানোর আশা নিয়ে মাঠে নামবে সফরকারীরা। এর আগে ২০২৩ সালে সবশেষ চট্টগ্রামে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-১ ব্যবধানে হেরেছিল আইরিশরা। এবারও সেই একই ভুলের পুনরাবৃত্তি করতে চায় না। এছাড়া বিশ্বকাপের আগে উপমহাদেশের কন্ডিশনে এটাই আইরিশদের শেষ ম্যাচে। ফলে বিশ্বকাপের আগে নিজেদের যাচাই করে নেওয়ার সুযোগটা সহজেই হাতছাড়া করতে চায় না আয়ারল্যান্ড।
দুই দলের অভিন্ন এই লক্ষ্য আর ১-১ ব্যবধানে থাকা সমতায় সিরিজের শেষ ম্যাচ পরিণত হয়েছে ‘ফাইনালে’। এই অলিখিত ফাইনাল জয়ের শেষ হাসি কে হাসে সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।