আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) আপিল চেম্বার সোমবার ইসরাইলের যুক্তির বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে। ৭ অক্টোবর ২০২৩ সালের পর গাজায় সংঘটিত অপরাধের তদন্ত অবৈধ দাবি করেছিল ইসরাইল তবে তা গ্রহণযোগ্য নয় বলে রায় দিয়েছে আইসিস’র আপিল চেম্বার। এই রায়কে ফিলিস্তিনে আইসিসির যুদ্ধাপরাধ তদন্তে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে ধরা হচ্ছে।
গত বছরের নভেম্বরে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। এরপর পরোয়ানা বাতিলের জন্য ইসরাইল নোটিশের অভাব ও প্রসিকিউটরের নিরপেক্ষতা নিয়ে অসংখ্য আপিল করেছে। তারা দাবি করেছিল, নতুন রেফারেলের কারণে প্রসিকিউটরকে পুনরায় নোটিশ প্রদান করা উচিত ছিল।
কিন্তু আপিল চেম্বার এই যুক্তি প্রত্যাখ্যান করেছে। বিচারকরা রায়ে উল্লেখ করেছেন যে, ৭ অক্টোবরের পরের ঘটনা মূল ২০২১ সালের নোটিশের আওতাভুক্ত, তাই নতুন বিজ্ঞপ্তির প্রয়োজন নেই। এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বৈধ থাকবে এবং তদন্ত অব্যাহত রাখা যাবে।
কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক আইনের অধ্যাপক কেভিন জন হেলার বলেছেন, ইসরাইল তার পরিপূরকতার অধিকার ব্যবহার করতে পারত, তবে তা করেনি। ইসরাইলের ভিত্তিহীন যুক্তিগুলো বিবেচনা করে আপিল খারিজ করার জন্য আপিল চেম্বারকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
আইসিসির এই তদন্তের ফলে ইতোমধ্যেই প্রধান প্রসিকিউটর, দুই ডেপুটি প্রসিকিউটর এবং গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা বিচারকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন প্রশাসন।