বাংলাদেশের জন্য ১ লাখ মেট্রিক টন চাল ক্রয়ে পাকিস্তানের ট্রেডিং কর্পোরেশন অব পাকিস্তান (টিসিপি) আহ্বান করা আন্তর্জাতিক দরপত্রে সর্বনিম্ন মূল্য প্রস্তাব এসেছে প্রতি টন ৩৯৪.৯৫ ডলার সিআইএফ লাইনর আউট। ইউরোপীয় ব্যবসায়ীদের বরাতে শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) এ তথ্য জানা গেছে। সিআইএফ লাইনর আউট শর্ত অনুযায়ী চাল বাংলাদেশে পৌঁছানো, বীমা, পরিবহন এবং আনলোডিং–সব ব্যয়ই সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে বহন করতে হবে।
ডনের প্রতিবেদনে জানা গেছে, এখনো কোনো ক্রয় সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি এবং টেন্ডারের প্রায় সব প্রস্তাবই বিবেচনায় রয়েছে। সর্বনিম্ন দামটি দিয়েছে পাকিস্তানের ঝুলায় লাল নামের একটি কোম্পানি। মোট ১১টি প্রতিষ্ঠান এই দরপত্রে অংশ নেয়, যেখানে অন্যান্য অফার ছিল ৩৯৭.২৫ থেকে ৪২৪.৮০ ডলার পর্যন্ত।
বাংলাদেশে স্থানীয় বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার সম্প্রতি ধারাবাহিকভাবে আমদানি টেন্ডার করে যাচ্ছে। টিসিপির দরপত্রে লং-গ্রেইন সাদা চাল চাওয়া হয়েছে, যা চুক্তি হওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে জাহাজীকরণ করতে হতে হবে। ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, পাকিস্তানি চালের পাশাপাশি কিছু সরবরাহে ভারতীয় উৎসও ব্যবহৃত হতে পারে।