বিরল মৃত্তিকা খনিজ সম্পদের ক্ষেত্রে সহযোগিতা জন্য একটি চুক্তি সই করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি। মঙ্গলবার টোকিও সফররত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে এ চুক্তি সই হয়। খবর দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের।
‘রেয়ার আর্থ মিনারেলস’ বা বিরল মৃত্তিকা খনিজ পদার্থের জন্য চীনের ওপর নির্ভরতা কমাতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র। সেলফোন থেকে শুরু করে জেট ইঞ্জিন পর্যন্ত সবকিছুর জন্য এই বিরল খনিজ পদার্থ অপরিহার্য উপাদান।
দক্ষিণ কোরিয়ায় চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে বৈঠকের দুই দিন আগে ট্রাম্প এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করলেন।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে এই চুক্তি করলেন তাকাইচি। আকাসাকা প্রাসাদে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তাকাইচি এই চুক্তিকে জাপান-মার্কিন সম্পর্কের ‘নতুন স্বর্ণযুগের’ সূচনা হিসেবে অভিহিত করেছেন।
বৈঠকে ট্রাম্প তাকাইচির দেশটির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের প্রশংসা করেন এবং তার সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর অঙ্গীকারকে স্বাগত জানান।
চীনের কাছাকাছি দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরো শক্তিশালী করার লক্ষ্যে এশিয়া সফরে ট্রাম্পের দ্বিতীয় গন্তব্য জাপান সফর। বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি আপনাকে জানাতে চাই, যেকোনো প্রয়োজনে জাপানকে সাহায্য করার জন্য আমি প্রস্তুত। আমরা সবচেয়ে শক্তিশালী পর্যায়ের মিত্র।’
বিরল মৃত্তিকা খনিজ পদার্থগুলো বলতে সাধারণত নিওডিমিয়াম, ডিসপ্রোসিয়াম, ল্যান্থানাম, সেরিয়াম, টার্বিয়ামের মতো ১৭টি ধাতব পদার্থকে বোঝায়। এগুলো রকেট, যুদ্ধবিমান, স্মার্টফোন, ইলেকট্রিক গাড়ির মোটর, উইন্ড টারবাইন, সোলার প্যানেল, স্যাটেলাইট যোগাযোগব্যবস্থা, এমনকি মিসাইল গাইডেন্স সিস্টেমসহ নানা যন্ত্র তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।
আরএ