চলতি বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কার ঘোষণা হওয়ার আগে আলোচনায় ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ধারণা করা হচ্ছিলো তিনিই পাবেন। কিন্তু এ বছর শান্তিতে নোবেল পেলেন ভেনেজুয়েলার মারিয়া কোরিনা মাচাদো পারিস্কা।
শুক্রবার নরওয়ের নোবেল কমিটি বিজয়ীর নাম ঘোষণা করে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবার স্পষ্ট করে বলেছেন যে তিনি এই পুরস্কার চান। তবে তিনি পেলেন না। ট্রাম্প নোবেল পেতে নরওয়ের উপর বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করেছেন।
মারিয়া কোরিনা মাচাদো একজন রাজনীতিবিদ এবং শিল্প প্রকৌশলী যিনি বর্তমানে ভেনেজুয়েলার বিরোধীদলীয় নেতা। তিনি ২০১১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ভেনেজুয়েলার জাতীয় পরিষদের নির্বাচিত সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ভেনেজুয়েলার লৌহমানবি হিসেবে খ্যাত।
ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্যেই নোবেল পুরস্কার পাবেন এমন বিশ্বাসের কথা ব্যক্ত করছেন। এ পুরস্কার আগে তার পূর্বসূরি মার্কিন প্রেসিডেন্টদের একজন বারাক ওবামাকে দেওয়া হয় ২০০৯ সালে। আন্তর্জাতিক কূটনীতি এবং মানুষের মধ্যে সহযোগিতা শক্তিশালী করার অসাধারণ প্রচেষ্টার জন্য তাকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল।
গত জুলাই মাসে ট্রাম্প নরওয়ের অর্থমন্ত্রী ও সাবেক ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গকে ফোন করে নোবেল পুরস্কার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন বলে জানা যায়। আবার গত মাসে জাতিসংঘে ট্রাম্প মিথ্যা দাবি করেছেন যে তিনি সাতটি ‘অন্তহীন যুদ্ধ’ বন্ধ করেছেন এবং বিশ্বনেতাদের বলেন, সবার মতে, আমার নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়া উচিত।
গত বছর নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছিল জাপানি সংগঠন নিহন হিদানকিও। তারা পারমাণবিক বোমা হামলার শিকার মানুষদের প্রতিনিধিত্ব এবং পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব গড়তে কাজ করে।
২০১৪ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছিলেন পাকিস্তানের মালালা ইউসুফ জাই। তার চেয়ে কম বয়সে আর কেউ নোবেলে ভূষিত হয়নি। অপরদিকে ১৯৯৫ সালে ৮৬ বছর বয়সে নোবেল পেয়েছিলেন জোসেফ রোটব্লাট। এছাড়া এখন পর্যন্ত ৩১টি প্রতিষ্ঠান নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছে।