ইন্দোনেশিয়ায় বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯০ জনে দাঁড়িয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরো অনেকে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উত্তর সুমাত্রা। সেখানে ৩৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বন্যায় বাস্তুচ্যুত হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। খবর বিবিসির।
উত্তর সুমাত্রার ১২টি শহর ও জেলা বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাতীয় দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার (বিএনপিবি) মুখপাত্র আব্দুল মুহারি বলেন, পশ্চিম সুমাত্রায়ে ১২ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।
পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশের একজন বাসিন্দা বলেছেন, বন্যা হঠাৎ আঘাত হানে, মধ্যরাতে বিকট শব্দে জেগে ওঠেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘বাইরে তাকিয়ে দেখি সবখানেই পানি। এক পর্যায়ে ঘর ডুবে যায়। আমি প্রায় ভেসে গিয়েছিলাম। একটি দড়ি ধরে রেখে রক্ষা পেয়েছি।’
আচেহর বেনার মেরিয়া রিজেন্সিতে বুধবার থেকে বেশ কয়েকটি জেলায় আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। এতে ১৩ জন নিহত এবং ১২ জন নিখোঁজ রয়েছেন। বেনার মেরিয়া যোগাযোগ ও তথ্য সংস্থার প্রধান ইলহাম আবদি বলেছেন, বেশিরভাগ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
ভারী মৌসুমি বৃষ্টিপাতের ফলে নদীর তীর ভেঙে যাওয়ায় সুমাত্রা দ্বীপে জুড়ে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। কিছু এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে, যার ফলে উদ্ধারকাজ কঠিন হয়ে পড়েছে।
শুক্রবার প্রকাশিত এক প্রেস বিবৃতিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব টেডি ইন্দ্রা বিজায়া বলেন, ‘আমরা যোগাযোগ পুনরুদ্ধারে সহায়তা করার জন্য প্রায় ১৫০টি তাঁবু, ৬৪টি বড় নৌকা এবং প্রায় ১০০টি ইউনিট পাঠিয়েছি।’
ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো দেশটির তিনটি ক্ষতিগ্রস্ত প্রদেশ আচেহ, উত্তর সুমাত্রা এবং পশ্চিম সুমাত্রায় ত্রাণ সহায়তা বিতরণের নির্দেশ দিয়েছেন।
আরএ