ট্রাম্পের শুল্কের প্রভাব
ভারতীয় শিল্প-কারখানায় উৎপাদনের গতি নভেম্বর মাসে একেবারে তলানিতে নেমে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর শুল্কারোপের কারণে দেশটির শিল্প খাতের প্রবৃদ্ধি ৯ মাসের মধ্যে এখন সর্বনিম্ন।
শুক্রবার প্রকাশিত এক সরকারি তথ্য অনুসারে ভারতের উৎপাদন খাতের প্রবৃদ্ধি ছিল আট দশমিক দুই শতাংশ, যা প্রত্যাশার চেয়েও বেশি। কিন্তু এরপরই ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের ওপর উচ্চ হারে শুল্কারোপ করে। যার সরাসরি প্রভাব পড়ে এখানকার শিল্প-কারখানায়। ফলে গতি কমে উৎপাদনে। যার সম্পূর্ণ চাপ পড়েছে ভারতীয় অর্থনীতির ওপর। এর আগে জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে উৎপাদন খাতে প্রবৃদ্ধির হার ঊর্ধ্বমুখী ছিল, যা এখন ধীরে ধীরে কমছে।
এইচএসবিসি ইন্ডিয়া ম্যানুফ্যাকচারিং পারচেজিং ম্যানেজারস ইনডেক্স বা পিএমআইএর করা এক জরিপে উঠে এসেছে এমন তথ্য। জরিপ অনুসারে নভেম্বরে দেশটির শিল্প-কারখানায় উৎপাদনের গতি কমে গেছে, যা অক্টোবর মাসের চেয়েও কম। অক্টোবরে ছিল ৫৯ দশমিক দুই আর নভেম্বরে তা নেমে আসে ৫৬ দশমিক ৬-এ এবং প্রাথমিক ৫৭ দশমিক ৪-এর নিচে। ফেব্রুয়ারির পর থেকে এ খাতে আয় কমেছে অনেকে।
এইচএসবিসির প্রধান ভারতীয় অর্থনীতিবিদ প্রাঞ্জুল ভাণ্ডারী বলেছেন, নভেম্বরের পিএমআই রিপোর্ট অনুসারে বাড়তি শুল্কের কারণে শিল্প-কারখানায় উৎপাদন কমেছে। ফলে গতি কমছে উৎপাদনে।
পিএমআই রিপোর্টে বলা হয়েছে, এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ভারতে নতুন রপ্তানি আদেশ অনেক কম। এখন এটা ১৩ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে।
বিভিন্ন ভারতীয় পণ্য, বিশেষ করে শ্রমঘন বিভিন্ন শিল্প-কারখানার ওপর বাড়তি শুল্কের মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন কোম্পানিও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শাস্তিমূলক শুল্কারোপের ফলে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বছরে প্রায় ৯ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এর ফলে উচ্চ বাণিজ্য ঘাটতির সৃষ্টি হয়েছে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্র হচ্ছে ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার।
যদিও আফ্রিকা, এশিয়া, ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ভারতের রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এরপরও দেশটির শিল্প-কারখানায় উৎপাদনের গতি কমেছে।