সুদান নিয়ে জাতিসংঘের সতর্কতা
সুদানে জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস জানিয়েছে, দারফুরের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর এল-ফাশারে অকল্পনীয় নৃশংসতার শিকার হচ্ছেন নিরীহ মানুষেরা। আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) এল-ফাশের দখলে নেয়ার পর থেকে ‘নৃশংস আক্রমণ’ বাড়ছে। খবর আল জাজিরার।
শনিবার সামাজিকমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে সুদানে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রতিনিধি লি ফাং বলেন, ‘গত ১০ দিন ধরে এল-ফাশেরে নৃশংস আক্রমণের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি শোকের শহরে পরিণত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘১৮ মাস ধরে অবরোধ ও সংঘাতের মধ্যে বেঁচে থাকা বেসামরিক নাগরিকরা এখন অকল্পনীয় মাত্রার নৃশংসতা সহ্য করছে।’
লি ফাং আরো বলেন, ‘নারী, শিশুসহ শত শত মানুষ নিহত হয়েছেন, যারা হাসপাতাল এবং স্কুলে আশ্রয় নিতে চেয়েছিল। পালিয়ে যাওয়ার অনেকে সপরিবারে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে অনেকে।’
জাতিসংঘের এই সতর্কতা এমন এক সময় এলো যখন দাতা গোষ্ঠীগুলো জানিয়েছে, উত্তর দারফুর রাজ্যের রাজধানী থেকে পালিয়ে আসা হাজার হাজার মানুষ তাওয়িলা শহরে ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে।
সুদানের আইডিপি এবং শরণার্থী শিবিরের সাহায্যকারী গোষ্ঠীর মুখপাত্র অ্যাডাম রোজাল বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে জানিয়েছেন, ১৬ হাজারের বেশি মানুষ তাওয়িলায় পৌঁছেছেন, যাদের অনেকেরই খাদ্য, ওষুধ, আশ্রয় সামগ্রী এবং মানসিক সহায়তার তীব্র প্রয়োজন।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার ধারণা, ৪ নভেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৮২ হাজার মানুষ এল-ফাশের ও আশেপাশের এলাকা ছেড়ে তাওয়িলা, কেবকাবিয়া, মেলিত এবং কুতুমে পালিয়ে গেছেন।
আরএ