কায়রোতে মিশরের গোয়েন্দা প্রধান হাসান রাশেদের সঙ্গে বৈঠক করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রতিনিধি দল। রোববার এক বিবৃতিতে হামাস জানায়, বৈঠকে যুদ্ধবিরতি চুক্তির অগ্রগতি, গাজার বর্তমান পরিস্থিতি, ইসরাইলের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন এবং চুক্তির দ্বিতীয় পর্যায় নিয়ে আলোচনা হয়। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ডের।
যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও অবরুদ্ধ গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। এসব হামলায় শত শত ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হামাস জানিয়েছে, এসব হামলা বিদ্যমান যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে হুমকির মুখে ফেলছে। হামাস বলছে, তারা যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে ইসরাইলের ‘অব্যাহত লঙ্ঘন’ যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে দুর্বল করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করে তারা।
মধ্যস্থতাকারীদের তত্ত্বাবধানে এমন একটি স্পষ্ট পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে, যাতে লঙ্ঘনের বিষয়গুলো নথিভুক্ত করা যায় এবং তা বন্ধ করতে ‘তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ’ নিশ্চিত করা যায়। উত্তেজনা বৃদ্ধি পায় এবং চুক্তির ক্ষতি হয় এমন একতরফা পদক্ষেপ বন্ধেরও আহ্বান জানায় হামাস।
গাজার সরকারি গণমাধ্যম অফিস জানায়, যুদ্ধবিরতির পর থেকে ইসরাইলি বাহিনী ৩৪২ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে এবং আহত হয়েছেন শত শত মানুষ।
ইসরাইল জানিয়েছে, তারা জিম্মি ইসরাইলিদের সব লাশ ফেরত পাওয়াও আগ পর্যন্ত চুক্তির দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরু করবে না।
হামাস বারবার বলছে, গাজাজুড়ে ইসরাইলের ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের কারণে লাশগুলো উদ্ধার করতে সময় প্রয়োজন।
আরএ