হোম > বিশ্ব

বছরে বিলীন হবে চার হাজার হিমবাহ

আমার দেশ অনলাইন

ছবি: সংগৃহীত

সুইস আল্পসের ‘পিজল হিমবাহ’টি কার্যকরভাবে হারিয়ে যায় ২০১৯ সালে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ধীরে ধীরে এটি সংকুচিত হয়ে পড়ে। ফলে হিমবাহের বেশিরভাগই পাথর এবং বরফের ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয়। ফলে ওই বছরের সেপ্টেম্বরে প্রতীকী অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সুইজারল্যান্ডের হিমবাহ পর্যবেক্ষণ নেটওয়ার্ক থেকে এর নাম সরিয়ে ফেলা হয়। ওই ঘটনা বিশ্বব্যাপী হিমবাহের ক্ষতির ওপর গুরুত্ব তুলে ধরেছে।

‘পিজলের’ মৃত্যুর পর কেটে গেছে অনেকগুলো বছর। এর মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পড়েছে পৃথিবীর ওপর। গত কয়েক দশক ধরে পৃথিবীর তাপমাত্রা বেশ উত্তপ্ত হয়েছে। ফলে তীব্র গরমসহ নানাবিধ প্রাকৃতিক দুর্যোগে হাজারো মানুষ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। ক্রমবর্ধমান গতিতে উত্তপ্ত হচ্ছে পৃথিবীর তাপমাত্র। ফলে দ্রুত গলে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে হিমবাহের। কত দ্রুত এটি ঘটতে পারে, তার একটি আভাস দিয়েছে হিমবাহ নিয়ে করা নতুন গবেষণা।

সোমবার নেচার ক্লাইমেট চেঞ্জে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, যদি মানুষ পরিবেশদূষণ অব্যাহত রাখে, তবে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে জলবায়ুর ওপর। এর ফলে শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে হিমবাহের অদৃশ্য হওয়ার সংখ্যা বছরে চার হাজার হতে পারে। এটি মাত্র এক বছরে ইউরোপীয় আল্পসের সব হিমবাহ হারানোর সমান।

গবেষণায় তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে হিমবাহ থেকে বরফের মোট পরিমাণ বা ক্ষেত্রফলের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হয়েছে। পৃথিবীতে বর্তমানে দুই লাখের বেশি হিমবাহ রয়েছে। প্রতি বছর প্রায় ৭৫০টি অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে। তবে গবেষণাটি ইঙ্গিত দেয় যে, জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানো থেকে ধোঁয়া বায়ুমণ্ডলে নির্গমন অব্যাহত থাকায় এ গতি দ্রুততর হবে।

কিন্তু গবেষণার লেখক এবং সুইস বিশ্ববিদ্যালয়ের হিমবাহবিদ ম্যাথিয়াস হাস বলছেন, হিমবাহ কোথায় এবং কখন অদৃশ্য হবে তা জানা গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন কেবল কিছু বরফই গলায় না; বরং এটি অনেক হিমবাহকে সম্পূর্ণ বিলুপ্তির দিকে নিয়ে যায়।

বিজ্ঞানীরা ‘শীর্ষ হিমবাহ বিলুপ্তির’ কারণ বের করার জন্য বিশ্বব্যাপী ডেটাবেজ ব্যবহার করে গ্রহের হিমবাহগুলো দেখেছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারপ্রধান বর্তমান জলবায়ু কর্মপরিকল্পনা বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রাকে প্রাক-শিল্প স্তরের প্রায় ২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ঠেলে দেবে, যা আবহাওয়াকে আরো চরম পর্যায়ে নিয়ে যাবে। এ পরিস্থিতিতে ২০৪০ সালে হিমবাহের ক্ষয়ক্ষতির হার বছরে প্রায় তিন হাজারে পৌঁছাবে এবং ২০৬০ সাল পর্যন্ত মালভূমির ক্ষয়ক্ষতি এ হারে বাড়বে। শতাব্দীর শেষ নাগাদ আজকের হিমবাহের ৮০ শতাংশই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।

গাজায় প্রচণ্ড শীতে জমে নবজাতকের মৃত্যু

আফগানদের জোরপূর্বক দেশে ফেরত পাঠনো বন্ধের আহ্বান অ্যামনেস্টির

সেভেন-সিস্টার্স বিচ্ছিন্ন করার হুমকি সহ্য করা হবে না: আসামের মুখ্যমন্ত্রী

নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হলেন গাজার চিকিৎসকরা

ইমরান খানের বোনদের অবস্থান ধর্মঘটে পুলিশের বাধা

ইরানে নিরাপত্তা চেকপোস্টে বন্দুকধারীর সঙ্গে সংঘর্ষে ৩ পুলিশসহ নিহত ৪

ভেনেজুয়েলার আকাশসীমায় বিমান চলাচলে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন সতর্কতা

ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ পাকিস্তানের

যুক্তরাষ্ট্রে সৌদি আরবের সর্বাধুনিক যুদ্ধজাহাজের উদ্বোধন

কাশ্মীর কখনো ভারতের অংশ ছিল না, ভবিষ্যতেও হবেও না