গাজায় চলমান ধ্বংসযজ্ঞকে ‘অমানবিক ও অযৌক্তিক’ বলে অভিহিত করেছেন ভ্যাটিকানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পিয়েত্রো প্যারোলিন। শুধু বিবৃতি নয়, রক্তপাত বন্ধে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। খবর বার্তা সংস্থা আনাদোলুর।
৭০ বছর বয়সী প্যারোলিন ২০১৩ সাল থেকে পোপ ফ্রান্সিসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এই পদে দায়িত্ব পালনকারীদের ডেপুটি পোপ বলা হয়।
গাজা যুদ্ধের দ্বিতীয় বার্ষিকী উপলক্ষে ভ্যাটিকান নিউজকে দেয়া সাক্ষাতকারে গাজায় চলমান সহিংসতার নিন্দা জানান প্যারোলিন। তিনি গাজায় ইসরাইলের সামরিক আগ্রাসনকে ‘অমানবিক ও অযৌক্তিক’ বলে অভিহিত করেন।
তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, ইসরাইলের সামরিক অভিযান গাজার বেসামরিক নাগরিকদের জন্য ‘বিপর্যয়কর ও অমানবিক পরিণতি’ ডেকে এনেছে।
প্যারোলিন বলেন, ‘মানুষকে শিকারে পরিণত করা অগ্রহণযোগ্য এবং অযৌক্তিক।’ তিনি আরো বলেন, ‘হাজার হাজার মানুষ, যাদের মধ্যে অনেকেই শিশু, তাদের একমাত্র অপরাধ তারা সেখানে জন্মগ্রহণ করেছেন।’
হামাসের হাতে আটক ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানান প্যারোলিন।
ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলো যুদ্ধ বন্ধে ব্যর্থ হওয়ায় সমালোচনা করেন তিনি। এই হত্যাকাণ্ডে অভ্যস্ত হওয়ার ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করে দেন প্যারোলিন।
বেসামরিক নাগরিকদের ক্ষয়ক্ষতির জন্য ব্যবহৃত অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রাখার বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। এ সময় ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংকট মোকাবেলায় দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের ওপর জোর দেন তিনি।
ইসরাইলে হামাসের হামলায় এক হাজার ২০০ জনেরও কম মানুষ মারা গেছেল। যদিও গাজায় ইসরাইলি হামলায় ৬৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
আরএ