যুক্তরাষ্ট্রে শেষবারের মতো তৈরি হচ্ছে এক সেন্ট মুদ্রার কয়েন বা পেনি। উৎপাদন শুরুর ২৩০ বছরের বেশি সময় পর দেশটির ফিলাডেলফিয়া টাকশালে বুধবার পেনির সর্বশেষ ব্যাচটি তৈরি শুরু হয়েছে।
১৭৯৩ সালে প্রথম পেনি উৎপাদন করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পেনির সরবরাহ থাকলেও দিন দিন বিভিন্ন পণ্যের মূল্য বেড়ে যাওয়ার কারণে এই মুদ্রার ব্যবহার এখন দুর্লভ হয়ে পড়েছে। সরকার বলছে, অর্থ সাশ্রয় করতেই পেনির উৎপাদন বন্ধ করা হচ্ছে।
তামার প্রলেপ দেওয়া দস্তায় তৈরি এ কয়েনে যুক্তরাষ্ট্রের গৃহযুদ্ধের সমকালীন প্রেসিডেন্ট আবরাহাম লিঙ্কনের ছবি যুক্ত রয়েছে। বর্তমানে এ ধরনের একটি কয়েন তৈরি করতেই চার সেন্ট খরচ হয় বলে জানায় দেশটির অর্থ বিভাগ। ১০ বছর আগেও এর অর্ধেকের কম খরচে পেনি তৈরি হতো। ধারণা করা হচ্ছে, এ সিদ্ধান্তের ফলে বছরে পাঁচ কোটি ৬০ লাখ ডলার সাশ্রয় হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলছেন, ভার্চুয়াল লেনদেন বেড়ে পাওয়ার কারণে পেনি দিন দিন গুরুত্ব হারাচ্ছে। বর্তমানে আমেরিকার বাজারে এ ধরনের ৩০ হাজার কোটি কয়েন রয়েছে, যার পরিমাণ প্রয়োজনীয় ব্যবহারের চেয়েও বেশি। ২০২২ সালের সরকারি বিশ্লেষণ অনুযায়ী, পেনির মোট মুদ্রার ৬০ শতাংশই লেনদেন সক্ষমতা হারিয়ে শিশুদের মাটির ব্যাংকে স্থান করে নিয়েছে।
তবে পেনির সরবরাহ বন্ধ হওয়ায় জিনিসপত্রের দাম আরো বেড়ে যেতে পারে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই তাদের ক্ষুদ্রতম মুদ্রার উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে। কানাডায় ২০১২ সালে তাদের সর্বশেষে এক সেন্ট মুদ্রার কয়েন তৈরি করা হয়। এছাড়া অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে এক ও দুই সেন্ট মুদ্রার কয়েন ১৯৯০ সালের দিকে শেষবারের মতো তৈরি হয়।