ট্রাম্প প্রশাসন উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যে সিরিয়ার ভেতরে ইসরাইলের ধারাবাহিক হামলা দেশটির স্থিতিশীলতা বিপন্ন করতে পারে এবং ইসরাইল–সিরিয়া নিরাপত্তা চুক্তির সম্ভাবনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। সোমবার অ্যাক্সিওস–এর এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে আসে, যেখানে দুইজন জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তার বক্তব্য উদ্ধৃত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনটি আসে এমন সময়ে যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু টেলিফোনে আঞ্চলিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন।
সোমবার সকালে ট্রাম্প ইসরাইলকে সিরিয়ার সঙ্গে “শক্তিশালী ও সত্যিকারের সংলাপ” বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সিরিয়ার একটি “সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে রূপান্তরের পথে কোনো হস্তক্ষেপ হওয়া উচিত নয়।”
তিনি সিরিয়ার নতুন নেতা আহমেদ আল–শরাআর প্রশংসা করে বলেন, তিনি দুই দেশের জন্যই “ভাল কিছু ঘটানোর জন্য নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করছেন।”
গত শুক্রবার দক্ষিণ সিরিয়ার বেইত জিন গ্রামে এক ইসরাইলি অভিযানে ১৩ জন সিরিয়ান নিহত এবং ছয় ইসরাইলি সৈন্য আহত হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সিরিয়ার ভেতরে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়।
এক মার্কিন কর্মকর্তা অ্যাক্সিওস–কে বলেন, “সিরিয়ানরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছিল। বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ায় জনগণ প্রতিশোধের দাবি জানাচ্ছিল।”
মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, হোয়াইট হাউসকে ইসরাইল এই অভিযানের বিষয়ে আগে জানায়নি, এবং সিরিয়াকেও সামরিক চ্যানেলে সতর্ক করা হয়নি।
এক জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, “সিরিয়া ইসরাইলের সঙ্গে সমস্যা চায় না। এটি লেবানন নয়।”
তিনি আরও যোগ করেন, “কিন্তু বিবি (নেতানিয়াহু) সর্বত্র ভূত দেখছেন।”
আরেক কর্মকর্তা সতর্ক করেন, “আমরা বিবিকে বলছি, এটি বন্ধ করতে হবে। না হলে তিনি নিজেই নিজেকে ধ্বংস করবেন, একটি বড় কূটনৈতিক সুযোগ হারাবেন এবং সিরিয়ার নতুন সরকারকেই শত্রুতে পরিণত করবেন।”
ডিসেম্বর ২০২৪ থেকে সিরিয়া জানিয়েছে, ইসরাইল তাদের ভূখণ্ডে ১,০০০–এর বেশি বিমান হামলা, ৪০০–এরও বেশি সীমান্ত অতিক্রম করে আক্রমণ চালিয়েছে। এছাড়া গোলান মালভূমির নিরস্ত্রীকৃত বাফার জোন দখল করে ইসরাইল ১৯৭৪ সালের চুক্তি লঙ্ঘন করেছে বলেও দাবি করা হয়েছে।
এসআর