ইউক্রেনকে দূরপাল্লার টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়ার বিষয়ে নীতিগত সম্মতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন। তবে সিদ্ধান্ত কবে কার্যকর হবে, তা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চূড়ান্ত অনুমোদনের ওপর নির্ভর করছে।
গতকাল শুক্রবার সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানায়, পেন্টাগনের মূল্যায়নে দেখা গেছে, ইউক্রেনকে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র দিলে যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব অস্ত্র মজুতের ওপর কোনো বড় প্রভাব পড়বে না।
যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি উচ্চমাত্রার নির্ভুল ক্ষেপণাস্ত্র টমাহক প্রায় ১ হাজার ৫০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।
তিনজন মার্কিন ও ইউরোপীয় কর্মকর্তার বরাতে সিএনএন জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
এর আগে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে এক বৈঠকে ট্রাম্প বলেছিলেন, আমি চাই না আমাদের দেশের প্রতিরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় অস্ত্র অন্য দেশে দিয়ে দিই।
অন্যদিকে জেলেনস্কি বলেছেন, ইউক্রেনের প্রতিরক্ষায় দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র জরুরি। এগুলো যুদ্ধের ন্যায্য সমাপ্তি আনতে সহায়ক হবে।
এদিকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সতর্ক করে বলেছেন, যদি রুশ ভূখণ্ডে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত লাগে, তবে রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া হবে কঠোর।
পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, প্রেসিডেন্ট পুতিনের বক্তব্য যথেষ্ঠ স্পষ্ট এবং ব্যাখ্যার প্রয়োজন নেই।