যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান হুমকি মোকাবিলায় পেট্রোলিয়াম রপ্তানিকারক দেশগুলোর জোট ওপেকের সহায়তা চেয়েছে ভেনেজুয়েলা। রোববার ওপেক সদস্যদের কাছে লেখা এক চিঠিতে এ সহায়তা চান ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ভেনেজুয়েলার তেলের মজুদ ‘দখল’ করার চেষ্টার অভিযোগ করেছেন তিনি। খবর আল জাজিরার।
চিঠিতে মাদুরো লেখেন, ‘এই আগ্রাসন বন্ধে আপনার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টার ওপর আমি নির্ভর করার আশা করছি। হুমকি ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক জ্বালানি বাজারের ভারসাম্যকে মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে ফেলছে।’
মাদুরো ওপেক ও ওপেক+ দেশগুলোর বৃহত্তর গ্রুপ উভয়ের কাছেই ‘তার দেশের ভূখণ্ড, জনগণ এবং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মারাত্মক সামরিক শক্তি ব্যবহারের আনুষ্ঠানিক নিন্দা’ জানিয়েছেন।
ভেনেজুয়েলায় বিশ্বের সবচেয়ে বেশি তেলের মজুদ রয়েছে, যার আনুমানিক পরিমাণ ছিল ২০২৩ সাল পর্যন্ত ৩০৩ বিলিয়ন ব্যারেল। দেশটি ২০২৩ সালে ৪ দশমিক ০৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের অপরিশোধিত তেল রপ্তানি করেছে, যা অন্যান্য প্রধান তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর তুলনায় অনেক কম। এর অন্যতম প্রধান কারণ ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা।
১৯৬০ সালে ইরান, ইরাক, কুয়েত এবং সৌদি আরবের সঙ্গে ওপেকের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ভেনেজুয়েলা। এরআগে ভেনেজুয়েলা ও দেশটির আশপাশের আকাশসীমা ‘সম্পূর্ণ বন্ধ’ বিবেচিত হবে বলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন। এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে কারাকাস।
আরএ