জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ফিলিস্তিন প্রশ্নে বিতর্ক ও “ফিলিস্তিন সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান” প্রস্তাব গ্রহণের অধিবেশনে পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত অসিম ইফতিখার আহমদ ফিলিস্তিন সংকট সমাধানে নয় দফা জাতীয় অগ্রাধিকার তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, ন্যায়বিচার ও আন্তর্জাতিক আইন মেনে চললেই কেবল স্থায়ী শান্তির পথ তৈরি হতে পারে।
রাষ্ট্রদূত অসিম ইফতিখারের উপস্থাপিত অগ্রাধিকারগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল—
১. নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলেশন ২৮০৩-এর পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন এবং শারম আল-শেইখে অর্জিত অগ্রগতিকে ধরে রেখে ফিলিস্তিনিদের নেতৃত্বে পুনর্গঠন ও প্রতিষ্ঠান-বিনির্মাণের প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়া।
২. শান্তি প্রক্রিয়ায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কেন্দ্রীয় ভূমিকা নিশ্চিত করা এবং সাধারণ পরিষদের ম্যান্ডেট অনুযায়ী দুই-রাষ্ট্র সমাধানের ফলো-আপ জোরদার করা।
৩. যুদ্ধবিরতি সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়ন, কোনো একতরফা সামরিক পদক্ষেপ না নেওয়া, এবং গাজা থেকে ইসরাইলি বাহিনীর প্রত্যাহার।
৪. আসন্ন শীত ও ব্যাপক ধ্বংসের প্রেক্ষাপটে গাজার জনগণের জন্য পূর্ণ মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করা।
৫. কোনো ধরনের দখল, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি বা ভূমি বিভাজনের প্রচেষ্টা বন্ধ করা এবং গাজা ও পশ্চিম তীরের ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষা করা।
৬. সব ধরনের অবৈধ বসতি স্থাপন কার্যক্রম বন্ধ করা, বিশেষত আল-হারাম আল-শরিফ এলাকায় জনসংখ্যাগত বা আইনি পরিবর্তনের প্রচেষ্টা।
৭. ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও অপরাধীদের জবাবদিহির আওতায় আনা।
৮. ফিলিস্তিনসহ সিরিয়া ও লেবাননের সমস্ত আরব ভূখণ্ডে ইসরাইলি দখলদারিত্বের অবসান।
৯. একটি বিশ্বাসযোগ্য, সময়বদ্ধ রাজনৈতিক প্রক্রিয়া শুরু করা, যা প্রাসঙ্গিক জাতিসংঘের প্রস্তাব অনুযায়ী ১৯৬৭-পূর্ব সীমান্তে আল-কুদস আল-শরিফকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন, সার্বভৌম ও সংলগ্ন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হবে।
সূত্র: জিও নিউজ
এসআর