২০২৫ সালের অক্টোবরে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে নিয়মিতভাবে বিভিন্ন অজুহাতে গাজায় আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। এরই ধারাবাহিকতায় নতুন করে বিমান আবারো হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। তবে এর মধ্য দিয়েও যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্তপূরণে ইসরাইলি হামলায় মারা যাওয়া বন্দিদের লাশ খুঁজতে বের হচ্ছে হামাসের অনুসন্ধানী দল।
বুধবার (৫ নভেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদন বলা হয়েছে, ইসরাইলি বাহিনী দক্ষিণ গাজায়, খান ইউনিস আরো কিছু এলাকায় বিমান হামলা, গোলাবর্ষণ এবং ধ্বংসযজ্ঞের এক নতুন ধারা শুরু করেছে। যা গাজা উপতক্যায় চলমান যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের সর্বশেষ আক্রমণ।
সাহায্য সংস্থা রেড ক্রস জানিয়েছে, ইসরাইলি বন্দিদের লাশ খুঁজতে পূর্ব গাজার শুজাইয়া পাড়ায় যাচ্ছে ফিলিস্তিনিদের একটি দল। যারা ইসরাইলি বিমান হামলা এবং গোলাবর্ষণে মারা গেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, গাজার অধিকৃত পশ্চিম তীরে, ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারী এবং সেনাবাহিনী ফিলিস্তিনিদের উপর আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। এসময় রামাল্লায় একজন যুবককে আটক করেছে এবং এলাকায় ফিলিস্তিনিদের মালিকানাধীন জমিতে অভিযান চালিয়েছে দখলদাররা। এছাড়াও দখলদারদের আগুনে জ্বলছে নাবলুসের কৃষিজমি।
ইতোমধ্যে হামাসের কাছ থেকে পাওয়া বন্দিদের দেহাবশেষ পাওয়ার পর বুধবার ইসরাইল কর্তৃপক্ষের নিশ্চিত করেছে যে, হস্তান্তরিত লাশটি ইসরাইলি-আমেরিকান সৈন্য ইতাই চেনের। এটি ছিল গত মাসের গাজা যুদ্ধবিরতির পর হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে জীবিত এবং মৃত বন্দিদের বিনিময়ের অংশ।