পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে “চরম সহিংসতার গুরুতর কর্মকাণ্ড” করার অভিযোগে চার ইসরাইলি নাগরিকের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সিঙ্গাপুর। শুক্রবার সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক ঘোষণার মাধ্যমে জানিয়েছে,তারা চারজন ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীর ওপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করবে এবং তাদের সিঙ্গাপুরে প্রবেশে বাধা দেবে।
শনিবার মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক গণমাধ্যম আল-আরাবিয়া এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, পশ্চিম তীরে ইসরাইলি নাগরিক মেইর মোর্দেচাই এটিঙ্গার, এলিশা ইয়েরেড, বেন-জিওন গোপস্টেইন এবং বারুচ মারজেলের কর্মকাণ্ড বেআইনি এবং ফিলিস্তিনে দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের সম্ভাবনাকে হুমকির মুখে ফেলেছে।
“আন্তর্জাতিক আইন এবং দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের দৃঢ় সমর্থক হিসেবে, সিঙ্গাপুর আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বাস্তবতা পরিবর্তনের যেকোনো একতরফা প্রচেষ্টার বিরোধিতা করে,” এতে বলা হয়েছে।
এই চার ব্যক্তির বিরুদ্ধেই পূর্বে ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
এর আগে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান সেপ্টেম্বরে সংসদে ঘোষণা করেছিলেন যে ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারী গোষ্ঠীর নেতাদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
তিনি ইসরাইলি রাজনীতিবিদদেরও তিরস্কার করেন যারা ইসরাইলি-অধিকৃত দুটি ফিলিস্তিনি অঞ্চল, পশ্চিম তীর বা গাজার কিছু অংশ সংযুক্ত করার কথা বলেছিলেন এবং বলেছিলেন যে তথাকথিত ইওয়ান বসতি প্রকল্প পশ্চিম তীরকে খণ্ডিত করবে।
নিষেধাজ্ঞা আরোপের পাশাপাশি, বালাকৃষ্ণান বলেন যে সিঙ্গাপুর সঠিক পরিস্থিতিতে একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকেও স্বীকৃতি দেবে।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বেশিরভাগই পশ্চিম তীরে ইসরাইলি বসতি স্থাপনকে আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে অবৈধ বলে মনে করে। ইসরাইল এই বিষয়টির বিরোধিতা করে, এই অঞ্চলের সাথে ঐতিহাসিক এবং বাইবেলের সম্পর্ক উল্লেখ করে।
যদিও সিঙ্গাপুর এবং ইসরাইল ১৯৬৫ সালে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে ঘনিষ্ঠ কূটনৈতিক এবং সামরিক সর্ম্পক রয়েছে। এছাড়াও ২০২৪ সালে দেশটি জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের স্বীকৃতির পক্ষে সমর্থন প্রকাশ করে অসংখ্য প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়।