দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে শনিবার (১৫ শনিবার) ভারি বৃষ্টিপাতে ফিলিস্তিনিদের আশ্রয় শিবিরগুলো পানিতে ডুবে গেছে। শুক্রবার সকাল থেকে গাজা নিম্নচাপ ও শীতল বায়ুর প্রভাবে টানা ভারি বৃষ্টির মুখে পড়ে, যা যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে আশ্রয় নেওয়া প্রায় ১৫ লাখ মানুষের কষ্ট আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
আল-মাওয়াসি এলাকার বিভিন্ন স্থানে শরণার্থী শিবিরগুলোতে পানি ঢুকে পড়লে, আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে জরুরি ব্য়বস্থা নেয় গাজার সিভিল ডিফেন্স। সংস্থাটি জানায়, প্রবল বৃষ্টিতে বহু তাবু পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগ চরমে উঠেছে।
গাজা সরকারের হিসাব অনুযায়ী, আবহাওয়াগত কারণে এবং ইসরাইলের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে মোট ১ লাখ ৩৫ হাজার তাবুর মধ্যে ৯৩ শতাংশই আর বসবাসযোগ্য নেই।
এই পরিস্থিতিতে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা (UNRWA) গাজায় আশ্রয় সামগ্রী দ্রুত প্রবেশের দাবি জানিয়েছে। তারা সতর্ক করে বলেছে, “গাজায় শীত নেমে এসেছে, আর শীতের বৃষ্টি পরিস্থিতিকে আরও মরিয়া করে তুলছে।” সংস্থাটি জানায়, তাদের কাছে প্রয়োজনীয় আশ্রয় সামগ্রী প্রস্তুত আছে, কিন্তু ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির চুক্তি ভঙ্গ করে তাবু ও মোবাইল হোমের মতো সরঞ্জাম ঢুকতে দিচ্ছে না।
ট্রাম্পের ২০ দফা পরিকল্পনার ওপর ভিত্তি করা যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে জিম্মি ও বন্দি বিনিময় ছাড়াও গাজা পুনর্গঠন ও নতুন প্রশাসন গঠনের কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরাইলি হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ৬৯ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
সূত্র: টিআরটি ওয়ার্ল্ড।