ফিফার প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনোকে লেবাননের নাগরিকত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে মঙ্গলবার এক ঘোষণায় জানিয়েছে দেশটির ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এলএফএ)।
ইনফান্তিনোর স্ত্রী লেবানিজ নাগরিক লিনা আল-আশকার। তিনি এ সপ্তাহে স্বামীর দুই দিনের লেবানন সফরের সঙ্গী ছিলেন।
লেবাননের প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন ৫৫ বছর বয়সী ইনফান্তিনোকে নাগরিকত্ব প্রদান করেছেন। লেবানন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এলএফএ) একে বর্ণনা করেছে “লেবাননের ফুটবলের উন্নয়নে তার ভূমিকা এবং লেবানিজ ফুটবলের প্রতি তার অব্যাহত সমর্থনের প্রতি কৃতজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশ” হিসেবে।
ইনফান্তিনো এলবিসিআই-কে বলেছেন: “আমি এখনও নাগরিকত্ব পাইনি, তবে শিগগিরই পাব। আমি খুব গর্বিত এবং খুব খুশি। বহু বছর ধরেই আমি নিজেকে লেবানিজ ভাবি। তাই এটাকে আনুষ্ঠানিক রূপ দেওয়ায় ভালো লাগছে।”
লেবাননের আইনে নারীরা তাদের স্বামী বা সন্তানদের নাগরিকত্ব দিতে পারেন না। ফরাসি ম্যান্ডেট আমলের ১৯২৫ সালের আইন অনুসারে কেবল পুরুষরা বিদেশি স্ত্রীকে নাগরিকত্ব দিতে পারেন।
এমটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইনফান্তিনো বলেন, “লেবানিজ নাগরিকত্ব পাওয়ার পর প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পেরে আমি সম্মানিত। আমি লেবাননকে ভালোবাসি—আমার অর্ধেকই লেবানিজ। আমরা আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন একটি স্টেডিয়াম নির্মাণে কাজ করব, যা লেবানন ও লেবানিজ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে উপহার দেব।”
এলএফএ প্রধান হাশেম হায়দার বলেন, নতুন স্টেডিয়াম নির্মাণ প্রকল্পের সম্পূর্ণ অর্থায়ন করবে ফিফা।
শীঘ্রই নাগরিকত্ব পেতে চলা ইনফান্তিনো বলেন, “আমি মনে করি লেবাননে একটি জিনিসের খুব প্রয়োজন—একটি অত্যাধুনিক ফুটবল স্টেডিয়াম। এমন একটি স্টেডিয়াম যেখানে জাতীয় দল নিজেদের হোম ম্যাচ খেলতে পারবে, যা লেবাননের গর্ব হবে।”
দুই দিনের সফর শেষে ইনফান্তিনো কাতারে যাবেন, যেখানে তিনি লেবানন ও সুদানের মধ্যকার আরব কাপ বাছাই ম্যাচ দেখবেন।
২০১৬ সাল থেকে ফিফা সভাপতি ইনফান্তিনোর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডা যৌথভাবে ২০২৬ বিশ্বকাপের আয়োজক মনোনীত হয়।
গাজায় ইসরায়েলি হামলা নিয়ে ফিফার ভূমিকার কারণে তিনি সমালোচনার মুখে আছেন। ইসরায়েলকে ফিফা ও উয়েফা থেকে নিষিদ্ধ করার দাবির মধ্যে ইনফান্তিনো বলেন, ফিফা শান্তি ও ঐক্যকে উৎসাহিত করে কিন্তু রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান করতে পারে না।
সূত্র: মিডল ইস্ট আই
এসআর