ভেনেজুয়েলায় যেকোনো সময় সামরিক অভিযান শুরু করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র—এমন ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি জানান, দেশটির ভেতরে থাকা মাদক চোরাচালান নেটওয়ার্ক ও তাদের অবকাঠামোই হবে সম্ভাব্য হামলার মূল লক্ষ্য।
ট্রাম্পের দাবি, ভেনেজুয়েলায় উৎপাদিত বিপুল পরিমাণ ফেনটানিল যুক্তরাষ্ট্রে পাচার করা হয়, যার ফলে প্রতিবছর হাজারো মার্কিন নাগরিক মৃত্যুর মুখে পড়ে। তিনি বলেন, গত বছর এই মাদকের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় দুই লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
ট্রাম্প আরও জানান, “নৌ-অভিযানের মতো এবার স্থলভিত্তিক হামলাও শুরু হবে। স্থলপথে অভিযান পরিচালনা আরও সহজ। মাদক চোরাচালানকারীরা কোন রুটে চলে, কোথায় অবস্থান করে—সবই আমাদের জানা। খুব শিগগিরই অভিযান শুরু হবে।”
ক্যারিবীয় অঞ্চলে গত কয়েক মাস ধরে যুদ্ধজাহাজ ও সেনা বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ইতিমধ্যে মাদক বহনের অভিযোগে কয়েকটি নৌযানে হামলা চালানোও হয়েছে। এক নৌকার ওপর পরপর দুটি হামলার ভিডিও ফাঁস হওয়ায় ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে; সেখানে দেখা যায় প্রথম হামলায় কয়েকজন নিহত হওয়ার পর দ্বিতীয় হামলায় বেঁচে থাকা ব্যক্তিদেরও হত্যা করা হয়।
তবে সমালোচনার পরও অবস্থান বদলাননি ট্রাম্প। তিনি বলেন, “মাদক চোরাকারবারীরা গত বছর দুই লাখ মানুষকে হত্যা করেছে। আমরা এই সংখ্যা কমাব। মাদকের সঙ্গে জড়িত ওই লোকগুলোকে আমরা নির্মূল করব।”
উল্লেখ্য, ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে মাদক চোরাচালানের অভিযোগ তুলে আসছে যুক্তরাষ্ট্র, যদিও মাদুরো এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
এসআর