ভারতের পৃষ্ঠপোষকতায় পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর বিষয়ে বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ রয়েছে বলে দাবি করেছে ইসলামাবাদ। মঙ্গলবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে দেয়া বক্তব্যে পাকিস্তান মিশনের কাউন্সিলর এবং রাজনৈতিক সমন্বয়কারী গুল কায়সার সারওয়ানি এমন দাবি করেন। খবর জিও নিউজের।
সারওয়ানি বলেন, টিটিপি, ফিতনা আল-খারিজি, বিএলএ ও ফিতনা হিন্দুস্তানের মতো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে পৃষ্ঠপোষকতা দেয় ভারত, এ বিষয়ে তাদের কাছে নির্ভরযোগ্য প্রমাণ আছে।
সন্ত্রাসবাদের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদের ভিত্তিহীন অভিযোগের মাধ্যমে সবার মনোযোগ অন্যদিকে সরানোর চেষ্টা করছে ভারত। তবে সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষকতা, অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ, উত্তর আমেরিকাসহ বিশ্বব্যাপী রাষ্ট্র-সমর্থিত হত্যা অভিযান এবং সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সহিংসতার রেকর্ডকে ভারত গোপন করতে পারবে না।
সারওয়ানি আরো বলেন, ‘পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের স্পষ্ট পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়াও, ভারত বারবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালিয়েছে, যা আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘের সনদের চরম লঙ্ঘন।’
তিনি বলেন, পাকিস্তান সব সময় দায়িত্বশীলতা এবং সংযম প্রদর্শন করেছে। তিনি বলেন, ‘দায়িত্বশীল রাষ্ট্র হিসেবে পাকিস্তান, নিরাপত্তা পরিষদের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়েছিল। পাকিস্তান একটি স্বাধীন, বিশ্বাসযোগ্য তদন্তের প্রস্তাব দেয়, যা ভারত প্রত্যাখ্যান করে।’
ভারতের আচরণ বর্ণনা করে সারওয়ানি বলেন, ‘ভারতের এই আচরণ তার দুর্বৃত্তের মানসিকতাকে প্রতিফলিত করে, যারা আন্তর্জাতিক আইন এবং নিয়মের স্পষ্ট অবমাননা করে।’
তিনি বলেন, পাকিস্তানে হামলা ভারতের কোনো আত্মরক্ষা ছিল না; এটি ছিল একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নগ্ন আগ্রাসন।’
সারওয়ানি বলেন, ভারতের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের উপযুক্ত জবাব দিয়েছিল পাকিস্তান।
সিন্ধু পানি বণ্টন চুক্তি সম্পর্কে সারওয়ানি বলেন, ‘চুক্তির কোনো ধারা একতরফা স্থগিতাদেশ, পরিবর্তন বা তথাকথিত ‘স্থগিতকরণ’ অনুমোদন করে না। এই ধরনের পদক্ষেপ সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থ সিদ্ধির জন্য পানিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের শামিল।’
আরএ