ইরানের তেল ও তেল পরিবহনের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে ২৯টি জাহাজ এবং সেগুলোর ব্যবস্থাপনা সংস্থাগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, এসব জাহাজের মাধ্যমে ইরানের জ্বালানি তেল রপ্তানি করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞাভুক্ত জাহাজ এবং প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতারণার মাধ্যমে কয়েকশ মিলিয়ন ডলারের ইরানি অপরিশোধিত তেল এবং তেলজাত পণ্য পরিবহন করেছে। ‘ছদ্ম বহর’ বলতে এমন জাহাজগুলোকে বোঝায়, যেগুলো নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা দেশ থেকে তেল বহন করে। এ জাহাজগুলো মূলত পুরোনো, মালিকানা অস্বচ্ছ এবং এদের কাগজপত্র অনেক বন্দরের জন্য আন্তর্জাতিক মান পূরণ করে না।
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, তারা তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচি এবং মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে জঙ্গিদের সমর্থনের কারণে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে। তবে ইরান বলেছে, তাদের পারমাণবিক কাজ মূলত বেসামরিক উদ্দেশ্যে।
তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে উত্তেজনা আরো বেড়ে যায়, যখন দুই দেশ পাঁচ দফা পরোক্ষ পারমাণবিক আলোচনা চালিয়েও ব্যর্থ হয়। আর এর শেষ হয় জুন মাসে ১২ দিনের বিমানযুদ্ধের মাধ্যমে। সেই যুদ্ধে ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে বোমা হামলা চালায়।
রয়টার্স জানিয়েছে, জাতিসংঘে ইরানি মিশন এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।