পাকিস্তান সরকার জানিয়েছে, কারাবন্দি পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করার পর কেউ রাজনৈতিক আলোচনা করলে তিনি সাক্ষাতের অধিকার হারাবেন। তিনি বলেন, জেল আইনে এই ধরনের আলোচনার কোনো সুযোগ নেই। একই আইন অনুযায়ী ইমরান খানের বোনও তার সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না। খবর দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের।
আইনমন্ত্রী আজম নাজির তারারের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার বলেন, ইমরান খানের বোন দেখা করার পর রাজনৈতিক আলোচনা করেছেন। একারণে কর্তৃপক্ষ উজমা খানের সাক্ষাতের সুযোগ স্থগিত করেছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, কারাবিধি লঙ্ঘনকারী বা আদিয়ালা কারাগারের বাইরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী যেকোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আইনমন্ত্রী তারার জোর দিয়ে বলেন, কারাগারের নিয়ম অনুযায়ী এই ধরনের পরিদর্শনের সময় যেকোনো কথোপকথন প্রচার করা নিষিদ্ধ।
আইনমন্ত্রী বলেন যে, আদিয়ালা জেল পাঞ্জাব সরকারের অধীনে পরিচালিত হয় এবং ইসলামাবাদের নতুন কারাগারটি এখনো কার্যকর হয়নি। তিনি জোর দিয়ে বলেন, কারাগারের নিয়ম অনুসারে, কারাবন্দী পিটিআই প্রতিষ্ঠাতাকে বৈঠকের সময় রাজনৈতিক আলোচনা থেকে বিরত রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, কারাবিধি অনুযায়ী, একজন দণ্ডিত বন্দির সঙ্গে সপ্তাহে একবার দেখা করা যাবে, যেখানে ছয়জনের বেশি দর্শনার্থী থাকতে পারবে না এবং সপ্তাহে কেবল একটি চিঠির অনুমতি রয়েছে, যার কোনওটিতেই রাজনৈতিক উপাদান বা তথ্য প্রকাশের উদ্দেশ্যে প্রকাশ করা যাবে না।
তিনি বলেন, ‘ইমরান খান একজন দণ্ডিত বন্দি এবং তিনি কারো তত্ত্বাবধান ছাড়া দেখা করতে পারবেন না।’ আজম নাজির তারার বলেন, এই বিধিগুলি কয়েক দশক ধরে বিদ্যমান রয়েছে। মন্ত্রী আরো বলেন, ইমরান খানের নিজে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে, তিনি সাজাপ্রাপ্ত বন্দিদের জন্য এই ধরনের অনুমতির বিরোধিতা করেছিলেন এবং এমনকি বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টেও নিয়ে গিয়েছিলেন।
আরএ