ইসরাইল জিম্মি-যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে মুক্তির জন্য নির্ধারিত যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ২৫০ জন ফিলিস্তিনি নিরাপত্তা বন্দীর পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করেছে। বিচার মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত এই তালিকাটি মন্ত্রিসভা ও মার্কিন-সমর্থিত চুক্তি অনুমোদনের পর সকালে প্রকাশ করা হয়।
শুক্রবার ইসরাইলি গণমাধ্যম টাইমস অব ইসরাইল এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
তালিকা অনুযায়ী, ১৫ জন বন্দী পূর্ব জেরুজালেমে, ১০০ জন পশ্চিম তীরে এবং ১৩৫ জন নির্বাসনের জন্য নির্ধারিত রয়েছে। আলোচকরা ফাতাহ-অনুমোদিত ১১ জন বন্দীর সাথে হামাস-অনুমোদিত বন্দীদের বিনিময়ে সম্মত হওয়ার পর তালিকায় কিছু শেষ মুহূর্তের পরিবর্তন আনা হয়।
তবে বিশিষ্ট ফাতাহ নেতা মারওয়ান বারঘৌতির নাম তালিকায় নেই। হামাস তার মুক্তি দাবি করলেও ইসরাইল তা প্রত্যাখ্যান করেছে। একইভাবে, পপুলার ফ্রন্ট নেতা আহমেদ সাদাত ও হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা ইব্রাহিম হামেদ এবং হাসান সালামেহকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
প্রকাশিত তালিকায় পশ্চিম তীরের জেনিন এলাকার ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদের কমান্ডার ইয়াদ আবু আল-রুবের নাম রয়েছে। তিনি ২০০৩ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে ইসরাইলে
একাধিক আত্মঘাতী বোমা হামলার পরিকল্পনা ও তত্ত্বাবধান করেছিলেন বলে ইসরাইল দাবি করে।
এছাড়াও তালিকায় রয়েছেন ফাতাহ কর্মী মুহাম্মদ জাকারনেহ, যিনি ২০০৯ সালে এক হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনায় যুক্তের দাবি করে দখলদার ইসরাইল, এবং মুহাম্মদ আবু আল-রুব, যিনি ২০১৭ সালে ছুরিকাঘাতের হামলায় একজন ইসরাইলিকে হত্যার অভিযোগ করে ইসরাইল।
আরেকজন মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দী মাহমুদ কাওয়াসমেহ, যিনি শালিত চুক্তিতে মুক্তি পেয়ে গাজায় নির্বাসিত হয়েছিলেন এবং ২০২৪ সালে পুনরায় গ্রেপ্তার হন। তাকেও নতুন এই চুক্তির আওতায় মুক্তি দেওয়া হবে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।
চুক্তিতে ৭ অক্টোবরের হামলার পর গ্রেপ্তার হওয়া, কিন্তু সরাসরি জড়িত নন এমন আরও প্রায় ১,৭০০ গাজা বন্দীকে গাজা উপত্যকায় ফেরত পাঠানো বা বিদেশে নির্বাসিত করা হবে। জীবিত ও মৃত সব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এই বন্দীদের মুক্তির কথা রয়েছে।
আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এই চুক্তির বাস্তবায়ন বর্তমান সংঘাত প্রশমনে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে।