সংসদ নির্বাচনের আগে ইরাকে বিশেষ ভোটদান প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যেখানে এক মিলিয়নেরও বেশি সামরিক কর্মী এবং হাজার হাজার অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত নাগরিক অংশ নিচ্ছেন। রবিবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয় এবং চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
ইরাকি সংবাদ সংস্থা (আইএনএ) জানিয়েছে, দেশজুড়ে ৮০৯টি কেন্দ্রে স্থাপিত ৪,৫০১টি ভোটকেন্দ্রে প্রায় ১৩ লাখ সামরিক ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। এই বিশেষ ভোটদানের মূল উদ্দেশ্য হলো ১১ নভেম্বর সাধারণ নির্বাচনের দিনে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তা ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের ভোটের সুযোগ নিশ্চিত করা।
নিরাপত্তা কর্মীদের পাশাপাশি ২৬,৫৩৮ জন অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত নাগরিকও ভোট দিচ্ছেন। তাদের জন্য ২৭টি এলাকায় ৯৭টি ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে।
ইরাকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল আমির আল শাম্মারি জানান, সম্পূর্ণ সুরক্ষিত ভোটকেন্দ্রগুলোতে বিশেষ ভোটদান প্রক্রিয়া “মসৃণভাবে ও সুসংগঠিতভাবে” সম্পন্ন হচ্ছে।
আগামী সংসদ নির্বাচনে মোট ৭,৭৬৮ জন প্রার্থী—৫,৫২০ জন পুরুষ ও ২,২৪৮ জন নারী—৩২৯টি আসনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রতিনিধি পরিষদই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করে এবং সরকারকে আস্থা প্রদান করে। কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ২ কোটি ১০ লাখ ইরাকি ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত।
বর্তমান সংসদ ৯ জানুয়ারি ২০২২ সালে কাজ শুরু করে এবং ৮ জানুয়ারি ২০২৬ সালে মেয়াদ শেষ হবে। ইরাকি আইন অনুযায়ী, সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার কমপক্ষে ৪৫ দিন আগে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হয়।
ইরাকের সরকারের তিনটি শীর্ষ পদ ঐতিহ্যগতভাবে সম্প্রদায়ভিত্তিকভাবে বণ্টিত—রাষ্ট্রপতির পদ কুর্দিদের, প্রধানমন্ত্রীর পদ শিয়াদের এবং সংসদীয় স্পিকারের পদ সুন্নিদের হাতে—যাতে দেশের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হয়।
সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর