হোম > বিশ্ব

গাজায় ইসরাইলের বিরামহীন হামলা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

পশ্চিম তীরের নাবলুসের কাছে সালেম গ্রামে গতকাল শনিবার ফিলিস্তিনি কৃষকদের জমিতে যেতে বাধা দেয় ইসরাইলি সেনারা। ছবি : এএফপি

গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির ৪৩তম দিন পার হয়েছে শনিবার। অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ‍ভূখণ্ডের ওপর দুই বছরের ইসরাইলি বর্বর আগ্রাসনের পর গত ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। কিন্তু যুদ্ধবিরতির মধ্যেই গাজাবাসীকে লক্ষ্য করে বিরামহীন হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইল।

শনিবার মধ্য গাজার বুরেইজি শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি ড্রোন হামলায় দুই ফিলিস্তিনি আহত হন। এছাড়া জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি সেনাদের গুলিতে একজন আহত হন। একই সঙ্গে গাজা শহরের তুফফাহ ও শুজাইয়া মহল্লায়ও ইসরাইলি সামরিক বাহিনী কামানের গোলা নিক্ষেপ করেছে। এছাড়া দক্ষিণের রাফাহ ও খান ইউনুসে বিমান হামলা চালিয়ে আসছে ইসরাইল।

গাজা থেকে আলজাজিরার প্রতিনিধি জানান, ইসরাইলি বাহিনী ক্রমাগতভাবে চুক্তিতে নির্ধারিত ‘হলুদ সীমারেখা’ (ইয়োলো লাইন) অতিক্রম করে হামলা চালাচ্ছে। ফলে যুদ্ধবিরতি ভেঙে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এদিকে, রাফা ও খান ইউনুসে ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘর অব্যাহতভাবে গুঁড়িয়ে দিচ্ছে ইসরাইলি সেনারা। ইসরাইল নিয়ন্ত্রিত হলুদ সীমারেখার পূর্বে বিমান হামলা ও বিস্ফোরকবাহী বাহন পাঠিয়ে সব ধরনের স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিচ্ছে তারা।

হলুদ সীমারেখার মাধ্যমে পুরো গাজাকে কার্যত দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে উপত্যকার ৫০ শতাংশের বেশি ভূখণ্ড বর্তমানে ইসরাইলি সেনারা দখল করে রেখেছে।

সাম্প্রতিক সময়ে নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে সব ধরনের স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিচ্ছে ইসরাইলিরা। স্থানীয়রা বলছেন, এসব অঞ্চলে যাতে কোনো ফিলিস্তিনি ফিরে আবাস গড়তে না পারে, সে লক্ষ্যেই এ ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরাইল।

এরই মধ্যে তৃতীয় বছরের মতো শীতে দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন গাজার ফিলিস্তিনিরা। এর ওপর সাম্প্রতিক বৃষ্টি ও প্লাবনে ইসরাইলি হামলায় আবাস হারানো গাজাবাসীর তাঁবুও নষ্ট হয়েছে।

জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সমন্বয়বিষয়ক দপ্তর (ওসিএইএ) জানিয়েছে, পুরো গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলায় উদ্বাস্তু ১৫ লাখ মানুষ ৯২৫টি আশ্রয় শিবিরে রয়েছেন। এসব আশ্রয় শিবিরের ২১৪টিই প্লাবনের কারণে নষ্ট হওয়ার উচ্চঝুঁকিতে রয়েছে।

এদিকে, গাজার ৫৯০ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের মধ্যে মাত্র তিনটি চালু রয়েছে। এছাড়া ৩৬টি হাসপাতালের মধ্যে ১৮টি চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছে।

গাজায় হামলার মধ্যেই অধিকৃত পশ্চিম তীরে তাণ্ডব চালিয়ে আসছে ইসরাইলি বাহিনী ও বসতি স্থাপনকারীরা। ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, শনিবার হেবরন শহর ও এর পাশের গ্রাম বাইত উম্মার থেকে অন্তত ৩০ ফিলিস্তিনিকে আটক করেছে ইসরাইলি সেনারা। এর আগে হেবরনের বিভিন্ন মহল্লায় কারফিউ দেয় ইসরাইলি বাহিনী। এছাড়া তুলকারম থেকে আরেক ফিলিস্তিনিকে আটক করা হয়।

এর মধ্যে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তাবিষয়ক দপ্তর জানিয়েছে, ১১ থেকে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত পশ্চিম তীরে অন্তত ২৯ বার ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীরা হামলা চালিয়েছে। হামলায় ১১ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া ১০টি বাড়ি, দুটি মসজিদ ও দুই ডজন যানবাহন ভাঙচুর করা হয়। একই সঙ্গে বসতি স্থাপনকারীরা ফিলিস্তিনিদের জমির ফসল ও গবাদিপশুর ক্ষতিসাধন করে।

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদারের অঙ্গীকার জেলেনস্কির

তিউনিসিয়ায় প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবি

ভিয়েতনামে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯০, নিখোঁজ ১২

ভারতের দর্পচূর্ণ

এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার

৮ যুদ্ধের ৫টিই থামিয়েছি শুল্কের হুমকি দিয়ে: ট্রাম্প

গাজায় ৪৪ দিনে ৫০০ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন ইসরাইলের

লেবাননে হামলা জোরদার করেছে ইসরাইল, নিহত ২

যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও গাজায় ইসরাইলি হামলার প্রতিবাদে সুইডেনে বিক্ষোভ

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের পরিকল্পনায় মিত্রদের উদ্বেগ