ইসরাইলি জিম্মিদের দেহাবশেষ খুঁজতে সহায়তা করতে ভারী যন্ত্রপাতি ও প্রকৌশল সরঞ্জামসহ মিসরীয় ট্রাক এবং যানবাহনের একটি বহর গাজায় প্রবেশ করেছে। বার্তা সংস্থা এএফপির ফুটেজে গাজার দক্ষিণে খান ইউনুসে মিসরের এই যানবহরটিকে দেখা গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিতের জন্য রোববার ইসরাইলি সামরিক বাহিনীকে অনুরোধ করা হলেও তারা কোনো উত্তর দেয়নি। এর আগে গত শনিবার রাতে মিসরের রাষ্ট্রীয় সংবাদ চ্যানেল আল-কাহেরা এই বহরের গাজার পথে রওনা দেওয়ার কথা জানায়।
এছাড়া মিসরের সামরিক সূত্র জানিয়েছে, গাজামুখী গাড়িবহরটি শনিবার রাতে কেরেম শালোম ক্রসিংয়ে যাওয়ার পর ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে প্রবেশের জন্য অনুমোদনের অপেক্ষায় ছিল।
এদিকে, তুরস্কের একজন কর্মকর্তা গত ১৭ অক্টোবর জানিয়েছিলেন, জিম্মিদের মৃতদেহ খুঁজে বের করতে আঙ্কারা থেকে পাঠানো ৮১ জনের একটি উদ্ধারকারী দল গাজা উপত্যকায় প্রবেশের জন্য মিসর সীমান্তে অপেক্ষা করছে।
কিন্তু গাজায় তুরস্কের যে কোনো ধরনের সম্পৃক্ততার বিষয়ে ইসরাইলের আপত্তির কারণে তুরস্কের উদ্ধারকারী দলটি কখনো গাজায় প্রবেশের অনুমতি পায়নি।
প্রসঙ্গত, হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ইসরাইলি বাহিনীর কাছে বন্দি থাকা প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনির মুক্তির বিনিময়ে হামাসের কাছে বন্দি থাকা ইসরাইলের জীবিত ও মৃত অবশিষ্ট ৪৮ জিম্মিকে ফিরিয়ে দেওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু ২৮ জন নিহত জিম্মির মধ্যে মাত্র ১৫ জনকে এখন পর্যন্ত ফিরিয়ে দিয়েছে হামাস। অবশিষ্ট নিহত জিম্মিদের লাশ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে বলে জানিয়েছে তারা। সেজন্য নিহতদের দেহাবশেষ খুঁজে বের করার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে দলটি।