আমেরিকায় সম্প্রতি সংঘটিত দীর্ঘ সরকারি শাটডাউনের প্রভাবে দেশটির বেসরকারি খাতে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ চাকরি হারানোর শঙ্কায় রয়েছে। হোয়াইট হাউসের জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিলের (সিইএ) পরিচালক কেভিন হ্যাসেট বৃহস্পতিবার ফক্স নিউজকে এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান।
হ্যাসেট বলেন, শাটডাউনের কারণে বহু ব্যবসায়িক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে এবং কিছু ক্ষতি পুনরুদ্ধার করা সম্ভব নয়। অচলাবস্থায় বহু প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনীয় লেনদেন ও কার্যক্রম পরিচালনা করতে না পারায় স্থায়ী ক্ষতির মুখে পড়ে। তবে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আমেরিকার সামগ্রিক অর্থনীতি এখনো যথেষ্ট শক্তিশালী।
এর আগে আমেরিকার ইতিহাসে দীর্ঘতম সরকারি অচলাবস্থার অবসান ঘটে বুধবার। ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি নতুন অর্থায়ন আইনে স্বাক্ষর করলে এ অচলাবস্থার অবসান হয়। ২০২৬ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত এটি কার্যকর থাকবে। তবে সমঝোতা ভেঙে গেলে আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে আবারও অচলাবস্থা শুরুর আশঙ্কা রয়েছে।
সমঝোতা প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, ডেমোক্র্যাট দলের উগ্রপন্থীরা রাজনৈতিক কারণে দীর্ঘতম এ অচলাবস্থা সৃষ্টি করেছিল। কোনো দেশ এভাবে চলতে পারে না। আশা করি ভবিষ্যতে সরকার বন্ধ না করার বিষয়ে আমরা একমত হতে পারব।
আমেরিকার আইনসভা কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে ২২২-২০৯ ভোটে চুক্তিটি অনুমোদনের কয়েক ঘণ্টা পরই ট্রাম্প তাতে স্বাক্ষর করেন। এর ফলে দীর্ঘ ৪৩ দিনের অচলাবস্থার অবসান হয়। নতুন আইনে তিন বছর মেয়াদি বরাদ্দ প্যাকেজ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যা প্রয়োজনীয় সরকারি সংস্থা ও কর্মসূচিগুলোর অর্থায়ন নিশ্চিত করবে। এছাড়া শাটডাউনের সময় বরখাস্ত হওয়া ফেডারেল কর্মচারীদেরও এতে পুনর্বহাল করা হয়েছে।
ব্যয় বরাদ্দের অগ্রাধিকার নিয়ে কংগ্রেসে আলোচনা ভেঙে যাওয়ার পর গত ১ অক্টোবর থেকে আমেরিকায় ফেডারেল সরকারের কার্যক্রম আংশিকভাবে অচল হয়ে পড়ে। এতে হাজার হাজার সরকারি কর্মচারীকে বেতন ছাড়া কাজে বাধ্য করা হয় অথবা ছুটিতে পাঠানো হয়। একই সঙ্গে বহু সরকারি সেবা সীমিত বা স্থগিত হয়ে যায়।