বগুড়ার ইয়াকুবিয়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ থেকে প্রতারণা করে ৭৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। রহমান নগরের বাসিন্দা ও এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক মহিউদ্দিন গত রোববার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, বগুড়া সদর আমলি আদালতে এ মামলা করেন।
বিদ্যালয়ের টাকা উঠিয়ে ব্যক্তিগত গাড়ি কেনা ও আত্মসাতের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানের সাবেক সভাপতি রফি নেওয়াজ খান রবিন ও বরখাস্ত প্রধান শিক্ষক শাহাদৎ হোসেনের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়।
মামলার বাদী মহিউদ্দিন দাবি করেন, ২০২৩ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি কমিটির অনুমোদন ও কার্যকর চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই তৎকালীন প্রধান শিক্ষক শাহাদৎ হোসেন বিদ্যালয়ের তহবিলের টাকা দিয়ে ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য ৩৫ লাখ টাকা মূল্যের একটি মাইক্রোবাস কেনেন। গাড়িটির নম্বর ঢাকা-মেট্রো-চ-১২-৩৭৩৫।
মহিউদ্দিনের করা মামলার নথিতে আরো বলা হয়, তার মেয়ে ইয়াকুবিয়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। ২০২২ সালের ৩১ আগস্ট বিদ্যালয়ের তৎকালীন সভাপতি রবিন এবং প্রধান শিক্ষক শাহাদৎ কমিটির রেজল্যুশন ছাড়াই প্রতিষ্ঠানের প্রিমিয়ার ব্যাংকের হিসাব নম্বর থেকে প্রতারণার মাধ্যমে ৪০ লাখ টাকা উত্তোলন করেন। জনৈক ইউসুফ আলীর তাদের এ টাকা আত্মসাতে সহযোগিতা করে। মামলার অভিযোগে আরো বলা হয়, উন্নয়নের নামে ওই অর্থ উত্তোলন করা হলেও উন্নয়ন না করে বরং তারা সেই অর্থ ব্যক্তিগতভাবে আত্মসাৎ করেছে।
সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, বগুড়া সদর আমলি আদালত তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য জেলা শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশ দেন। আগামী ৫ জানুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

